এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের ডাংগাপাড়া এলাকার ভূট্টা ক্ষেত থেকে গত ২ মার্চ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় মো. মেহেদী হাসান (১৬) এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেন ফুলবাড়ী থানা পুলিশ।
ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া, ভাটাপাড়া এলাকার রিকশা-ভ্যান চালক মো. হামিদুল ইসলামের পুত্র মো. মেহেদী হাসান (১৬)। নিহত মো. মেহেদী হাসান স্থানীয় মির্জা জুট মিলের নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সকালে ভুট্টা খেতে ঘাস কাটতে গিয়ে এলাকার এক গৃহবধূ মেহেদী হাসানের মরদেহ ভূট্টা খেতে পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। এতে এলাকার লোকজন ঘটনা স্থলে গিয়ে কিশোরের মরদেহ দেখেন ও ফুলবাড়ী পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
নিহত মেহেদী হাসানের ফুফাতো ভাই মো. দুলাল সরকার ও প্রতিবেশী মো.মুকুল ইসলাম বলেন, মেহেদী হাসান গত বৃহস্পতিবার (১মার্চ) রাত ১০টা থেকে গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত মির্জা জুট মিলে নৈশ্য প্রহরীর দায়িত্ব পালন করে বাড়িতে চলে যায়। সকাল ৭টায় মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে একটি ফোন আসায় কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরে সকাল ১০টায় ভাংগাপাড়া এলাকার ভূট্টাখেতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ সনাক্ত করেন। তবে মেহেদী হাসান তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলেও মরদেহের কাছে তার মুঠোফোনটি পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনটি উদ্ধার হলে কে তাকে ফোন করেছিল এবং কোন নম্বরের মুঠোফোন থেকে ফোন করা হয়েছিল সেটি জানার পাশাপাশি মেহেদী হাসানের হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।
মরদেহ উদ্ধারকারি ফুলবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নূরুজ্জামান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহমান বলেন, মরদেহের ঘাড়ে আঘাতের কালো দাগ ও গালে আঁচড়ের দাগসহ মুখে ও নাকে মাটি চাপা দেওয়া ছিল।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাসিম হাবিব জানান, সকাল সাড়ে ১১টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মেহেদী হাসানকে হত্যার পর মরদেহ ভূট্টাখেতে ফেলে রেখেছিল হত্যাকারিরা।