দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে হাঁস ধরা নিয়ে পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তোজনা বিরাজ করছে। পৌর এলাকার উত্তর সুজাপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে চলতি মাসের ২জুলাই উত্তর সুজাপুর গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী রেখা বেগমের গৃহপালিত হাঁস মাঠ থেকে অন্য হাঁসের সাথে একই এলাকার বাসীন্দা তোফাজ্জল কাজির স্ত্রী জয়রা বেগমের বাড়ীতে যায়,অপরদিকে জয়রা বেগমের হাঁস রেখা বেগমের বাড়ীতে যায়। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয় । এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে রেখা বেগমের পরিবার প্রথমে জয়রা বেগমের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। জয়রা বেগমের রাস্তা বন্ধ করার প্রতিবাদে, জয়রা বেগম তার বাড়ীর সাথে থাকা গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঠে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে। এই নিয়ে উভয় পক্ষ থানা ও পৌরসভায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ ও পৌরসভার হস্তক্ষেপে রেখা বেগমের পরিবার জয়রা বেগমের চলাচলের রাস্তা খুলে দেয়। কিন্তু সাধারণ গ্রামবাসীর মাঠে যাওয়ার রাস্তা এখনো খুলে দেয়নি জয়রা বেগম। এই ঘটনায় উত্তর সুজাপুর গ্রামের অধিকাংশ বাসীন্দারা জয়রা বেগমের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর দিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ রেখা বেগমের সাথে ঝগড়া নিয়ে, জয়রা বেগম গ্রামবাসীদের মাঠে যাওয়া-আসার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এখন রেখা বেগম রাস্তা খুলে দিয়েছে,কিন্তু জয়রা বেগম রাস্তা খুলে দিচ্ছেনা, গ্রামবাসীরা বলেন,জয়রা বেগম রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় তারা মাঠে ক্ষেত খামারে যেতে পারছেনা,এমনকি তাদের গৃহপালিত পশু গরু-ছাগল মাঠে নিয়ে যেতে পারছেনা। এই জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উত্তর সুজাপুর এলাকার পৌর কাউন্সিলর হারান দত্ত বলেন,রেখা বেগম তার বাড়ীর সামনে যে ব্যারিকেট দিয়ে ছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কিন্তু জয়রা বেগমকে বারবার অনুরোধ করা হলেও সে তার বাড়ীর পাশের রাস্তায় লাগানো বেড়া খুলে দিচ্ছেনা। তিনি বলেন জয়রা বেগমের পিতা মরহুম মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমানকে সরকার একটি বাড়ী দিয়েছে, সেই বাড়ীসহ পাশের বাড়ী নির্মান করার সময় পৌর আইন অনুযায়ী ১৮ ইঞ্চি জায়গা রাস্তার জন্য ছেড়ে দিলেও, পাশের জায়গার মালিক মতিউর রহমানের মেয়ে জয়রা বেগম এখন ঘেরাবেড়া দিয়েছে। এতেকরে গ্রামবাসীর দীর্ঘ দিনের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়েছে। পৌর কাউন্সিলর বলেন জয়রা বেগমের পিতা একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায়, তারা কারো কথা কর্নপাত করেনা, অপরদিকে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার করে আসছে। তবে জয়রা বেগম বলেন,ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করায় তার নিরাপত্তার অসুবিধা হয় বলে তিনি ঘেরাবেড়া দিয়েছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুল হাসান বলেন উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কোর্টে প্রেরণ করেছেন।
