
অভিযানে ফলের দোকানদার নুরুল আলম ৫০০০/- টাকা, ট্রাংক রোডে জিয়াউদ্দিন শাহজাহানকে ২০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। জিরো পয়েন্টে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে মো: শামসুদ্দিনকে ৫০০/- টাকা ও রেজিস্ট্রেসন বিহীন গাড়ি চালানোর অপরাধে জাগীর হোসেনকে ৫০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এ সময় জাগীর হোসেন জানান, আমার গাড়িতে স্টিকার লাগিয়েছি। এটি থাকলে সার্জেন্টরা আমাকে আর কিছু বলে না। এজন্য আমাকে প্রতিমাসে লাইনম্যানকে ৫০০ টাকা দিতে হয়। জাগীর হোসেনের সি এন জি জব্দ করা হয়।
এ সময় ট্রাংক রোডে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে ফলের দোকানদার মো: রাজনকে ৫০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এসএসকে রোডের রাঁধুনী রেস্তোরার মালিককে রাস্তায় ইট বালু সিমেন্ট রেখে রাস্তা দখল করায় ৩০,০০০/- টাকা ও মদিনা ট্রেডার্স এর মালিক আবুল হাশেমকে ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। এছাড়া ট্রাংক রোডে মোটরসাইকেল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দায়ে গোলাম হোসেন, মাকসুদুর রহমান, একরামুল হক এবং শাহাদাত হোসেন রনি প্রত্যেককে ৫০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এসব দন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। এ সময় রাস্তা দখল করে রাখা অস্থায়ী দোকান অপসারণ করা হয়।
এছাড়াও ট্রাংক রোডের জয়নাল আবেদীনকে ২০০০/-, সাইফ উদ্দিনকে ১০০০/-, মো: শাহীনকে ১০০০/-, বেলায়েত হোসেনকে ৫০০০/-, জ্বিলানী ট্রান্সপোর্টকে ৫০০০/- টাকা, মহিউদ্দিনকে ৫০০/-, মো: আরিফ ১০০০/-, প্রদীপ ১০০০/-, ফজলুল করিমকে ২০০০/-, আব্দুল মান্নানকে ১০০০/-, প্লাস্টিক ডোর বিক্রেতা ১০০০০/-, পাখি ও কবুতর বিক্রেতা নিজাম উদ্দিনকে ৫০০০/- এবং নাজির রোডের অভিরাম বসাককে ৫,০০০/-, ফারুক এজেন্সিকে ১০,০০০/-, নূর ফার্নিশার্সকে ৫০০০/- ও সেলিম ট্রেডার্সকে ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। এসব দন্ড প্রদান করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: নূরের জামান চৌধুরী।
একসময় ফুটপাথ দখল অভিযান তদারকি করতে অভিযানে যোগ দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পি.কে. এম. এনামুল করিম। এ সময় তিনি ফুটপাথ দখল না করে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেনী পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্ণময় বণিক ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্যরা।