ফেনী প্রতিনিধি :
ফেনীতে দিনরাত ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।
গেল মাসে ২২ থেকে ২৩ দিন অভিযান চালিয়েছেন তিনি। এখানকার অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে এখন ‘আতঙ্ক ‘ সোহেল রানা।
মাত্র কয়েক মাস আগে ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা। শুরু থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন। রোজার শুরু থেকে ব্যাপক অভিযান শুরু করেন তিনি। ইতোমধ্যে ফেনী বাজারের সবজি আড়ত, কাঁচাবাজার, মসলা বাজার, মাছবাজার, মাংস বাজারে ২০টিরও বেশি অভিযান চালিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ফেনীর মিজান রোডের গ্র্যান্ড হক টাওয়ারের বিপণি বিতান ‘মায়াবী’তে বেশি দামে পোশাক বিক্রির অভিযোগে মালিককে সতর্ক করেন। অভিযান চালান মিষ্টি দোকান, একাধিক ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও একাধিক মাদক আখড়ায়। গভীর রাতে পরিচালিত অভিযানকালে এসব আখড়া থেকে কয়েক কেজি গাঁজাসহ নানা মাদক উদ্ধার হয়, গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মাদকের আখড়া। এসব কারণে ফেনী বাজারের অসাধু ব্যাবসায়ীদের কাছে এখন ‘আতঙ্কের নাম’ সোহেল রানা। সম্প্রতি তিনি ফেনী বাজারের তাকিয়া রোডে গেলে নকল ও ভেজাল মসলার মিল মালিকরা ৩০ থেকে ৩৫টি দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। অনেকে মুচলেকা দিয়ে রেহাই পান। এসব অভিযান থেকে আদায় করেন বিপুল অঙ্কের জরিমানা।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা জানান, জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসানের নির্দেশনায় কাজ করছেন তিনি। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা গত এক মাস ধরে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছেন। তিনি বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের নানাভাবে ঠকাচ্ছেন। এদের দমন করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য মানুষের অধিকার। এটি প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা।’ তিনি নিজেও একাধিকবার বাজারে গিয়ে ভেজাল পণ্য বিক্রি না করা, নিয়মিতভাবে পণ্যের দর প্রদর্শন করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একাধিক কর্মসূচি পালন করেন বলে জানান।