
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রাখতে, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত রুপ দিতে বেগম খালেদা জিয়াকে খুবই দরকার। তাই সবাই আমরা তার মুক্তিরর অপেক্ষায় তাকিয়ে আছি। তবে যেই দল একদিনে, এক মিনিটে গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল গঠন করে সেই দলের কাছে আন্দোলন ছাড়া গণতন্ত্র কে মুক্ত করা কঠিন হবে। তাই আমাদের আন্দোলন কে বেগমান করে ঐক্যবদ্ধভাবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিরর মাধ্যমেই এই সরকারের পতন ঘটাব।
আজ ৩ এপ্রিল ২০১৮ রোজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিশ সরোয়ারসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আমরা রাজপথে দাড়িয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চাই। কিন্তু সে আন্দোলনকে বিপথে নেয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করছে সরকার। তাই সরকারকে উদ্দেশ্যকরে বলতে চাই আমাদের কে অসহায় ভাবা উচিত হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ খুব নিম্ন স্তরে আছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমরা খুব উদ্বিগ্ম। খালেদা জিয়া শ্যাতশ্যতে কারাগারে অসুস্থ। গতকাল আমাদের মহাসচিব অসুস্থ হয়ে পরেছেন। ১২৫ কোটি টাকার দায়ে আমাদের ৮ জন নেতার বিরুদ্ধে দুদকের তল্লাসি চালাচ্ছে তাই আমাদের মন খুবই খারাপ। ৭৮ হাজার মামলায় ১৮ লক্ষ আসামী। আজকে আমরা এ মামলাকে ভয় পাই না। আমরা ভয় একটাই সেটা হলো বেগম খালেদা জিয়ার জেন কিছু না হয়।
উন্নয়নের দেশ হিসাবে নাম লেখার জন্য ছোট ছোট বাচ্চাদের রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, গুলশান থেকে প্রেসক্লাবে আসতে সময় দুই ঘন্টা ১৭ মিনিট। তাহলে উন্নয়নের ধারা তারা কিভাবে রাখবে। তারা লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত। বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করার জন্য তারা ব্যস্ত। গণতন্ত্র থাকুক আর না থাকুক সেটার দিকে তাদের লক্ষ নাই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান রহমান হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো: আবু জাফর, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, জাগপার সাধারন খন্দকার লুৎফর রহমান, লেবার পার্টির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো: আনোয়ার, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুন নবী ডাবলু, কৃষকদল নেতা গোলাম সরোয়ার সরকারী প্রমুখ।