
বরগুনা প্রতিনিধিঃ-
ওরে বাবা এবার বোজ্জেলাম মনে হয় মইরাই যামু, ভাগ্যভালো ঘূর্ণিঝড় মোরা বরগুনায় আয়নায় এসব কথাই জানালেন আশ্রয়নকেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরে আসা ষাটোর্ধ বছরের সাফিয়া বেগম।মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বাড়িতে ফিরে তিনি দৈনিক ভোরের দর্পন প্রতিনিধিকে এসব জানান। সে বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের ধূপতি গ্রামের বাসিন্দা মৃত মোসলেম আলীর স্ত্রী। তিনি আরো জানান, আমার মতো এমন অনেক বুড়োরা গিয়েছিলো ধূপতির গাজী বাড়ি আশ্রায়নকেন্দ্রে। সেখানে ছিলো শিশুরা। আনা হয়েছিলো গরু, মহিষ। আল্লাহর রহমতে আমরা এখন বন্যা মুক্ত।বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মহা. বশিরুল আলম সাংবাদিকদের জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আশংকা বরগুনায় নেই। ঘূর্ণিঝড় “মোরা” মোকাবেলায় বরগুনায় ৩৩৫টি আশ্রয়ন কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো। গঠন করা হয়েছিলো ৪৫টি মেডিকেল টিম। সোমবার দুপুর থেকে জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়কালীন এবং পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কাজের জন্য প্রায় ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবক/ উদ্ধারকর্মী প্রস্তুত রাখা সহ মওজুদ রাখা ছিলো পর্যাপ্ত পরিমান শুকনো খাবার বলেও জানান জেলা প্রশাসক।