
বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা সদর উপজেলার ১নং বদরখালী ইউনিয়নের কাহারমুদাবাদ, বদরখালী , কাটাখালী গ্রামে ৬কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য প্রায় ৩২০টি পরিবারের কাছ থেকে প্রতারনা করে প্রায় ১৫০০০০০/- লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সুএে জানা যায় , কাটাখালী গ্রামের মৃত্যু রশিদ খানের পুএ ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোশনের সহকারী অফিসার মোঃ হারুন প্রায় ৫ বছর পুর্বে গ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য ৩২০টি পরিবারের কাছ থেকে গ্রাহক প্রতি ৪৫০০/- থেকে ৫০০০/- করে প্রায় ১৫০০০০০/- লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু ৫ বছর অতিক্রম হলেও গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু তো দুরের কথা বর্তমানে গ্রামে বিদ্যুৎতের খাম্বা বসানো শেষ হয়নি। এছারাও হারুন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের চাকরির প্রভাব দেখিয়ে ,সিট প্লান ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের সাথে যোগ সাজোস করে ক্যাচমেন্ট এর বাহিরে ৪জন সদস্যর কাছ থেকে খাম্বা বিক্রি করে ১লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। তাছাড়া ১১০ ফিটের জায়গায় ১৪০ ফিট বানিয়ে গ্রাহকের কাছে টাকা দাবী করে। গ্রাহকরা বিদ্যুৎ না পাওয়ার বয়ে হারুনকে টাকা দিতে বাধ্য হয়। তাই ভুক্তভোগী ৩২০টি পরিবারের দাবী তাদের সমুদয় টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রতারকের বিচার চাইছেন। এ বিষয় অভিযুক্ত হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন , পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তিরা বলেন , পাইলট প্রোগ্রামে অএ এলাকায় বিদ্যুৎ পাস হয়েছে। এতে কোন টাকা লাগে না। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষনা ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে পল্লী বিদ্যুৎতের সংযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু হারুন নামের ঐ ব্যাক্তি সাধারন গরীব অসহায় মানুষদের ভুল বুঝিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। হারুন টাকার নেশায় সকলের ধারে ধারে ঘুরে আবারো টাকা দাবী করছে । কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবী আমরা আর কত টাকা দিবো বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য। আমাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরত চাই । বিদ্যুৎ পেতে কোন টাকা-পয়সা লাগেনা। বর্তমানে ঐ এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের কোন আগ্রগতি না থাকায় ঠিকাদার লিটন গাজী ও হারুনকে দায়ী করেন এলাকা বাসী। এ বিষয় পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার বলেন , লাইনটি পাইলট প্রোগ্রামে পাস হয়েছে , তাছাড়া পল্লী বিদ্যুৎতের সংযোগ পেতে কোন টাকা লাগেনা। কোন ব্যাক্তি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নাম বলে সাধারন মানুষকে ধোকা দিয়ে টাকা উত্তোলন করলে , অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে এলাকায় ব্যাপক উক্তেজনা বিরাজ করছে।