
খোকন হাওলাদার,গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ- বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের চিকিৎসকের অবহেলায় এক স্বাস্থ্য সহকারী মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার রাতে স্থানীয় সাংসদের পক্ষে তার পুত্র জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সেরনিয়াবাত আশিক আব্দুল্লাহ মৃতের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গেলে স্থানীয়রা তার কাছে চিকিৎসকের অবহেলায় স্বাস্থ্য সহকারী রামানন্দ সরকারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচার দাবি করেন।
জানা গেছে, উপজেলার কোদালধোয়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্যা ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী বনিতা বসুর স্বামী স্বাস্থ্য সহকারী রামানন্দ সরকার (৪০) সোমবার রাতে হঠাৎ করে অসুস্থ্য হয়ে পরে। ওইদিনই ভোর রাতে তাকে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল-মামুনের তত্বাবধানে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে রামানন্দ সরকারের অবস্থার অবনতি হলে তার পরিবারের লোকজন ওইসময় হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলতাফ হোসেনকে একাধিকবার ডাকতে গেলেও তিনি রোগীকে সারাদিনে একবারও দেখতে আসেনি। রাতে ডাক্তার তানভির আহম্মেদ ডিউটিতে এসে রোগীর অবস্থা গুরুতর দেখে তাৎক্ষনিক রাত ১১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামানন্দ মারা যায়।
মৃত রামানন্দর স্বজনদের অভিযোগ, ডাঃ আলতাফ হোসেন রোগীকে দেখতে গেলে ও সঠিক সময়ে রামানন্দকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলে সে (রামানন্দ) মারা যেতোনা। তারা আরও অভিযোগ করেন, ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলার কারনেই রামানন্দ সরকারের অকাল মৃত্যু হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরিশাল শেবাচিমের দায়িত্বশীল এক চিকিৎসক বলেন, রোগীকে আরও আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হতো।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডাঃ আলতাফ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার উপজেলার সকল স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়ে মিটিং ছিলো তাই আমি ব্যস্ত ছিলাম। বরিশাল সিভিল সার্জন ডাঃ মনোয়ার হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য সহকারী রামানন্দ সরকার শেবাচিমে ভর্তি হওয়ার পর আমাকে ডাঃ আলতাফ হোসেন জানিয়েছে। আমি খবর নিয়ে দেখি সে মারা গেছে। তিনি আরও বলেন, এখানে কারও অবহেলা রয়েছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।