নিজস্ব প্রতিনিধি : গার্লফ্রেন্ড নিয়ে বিবাদে বরিশালে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী মো. মানিকের (২০) হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষ এক ছাত্রলীগ কর্মী।
শনিবার রাতে কলেজ ক্যাম্পাসের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার (ডিগ্রি) ছাত্রাবাসের পিছনে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করে। ছাত্রলীগ কর্মী মো. মানিক বিএম কলেজের সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার রাতে মানিক বিএম কলেজের ডিগ্রি হলের পেছনে চায়ের দোকানে গেলে কলেজের অপর ছাত্রলীগ কর্মী পিয়াল ১০ থেকে ১২ সহযোগী নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মানিকের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় পিয়াল ও তার সহযোগীরা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখায়াত হোসেন জানান, গত শুক্রবার রাতে বিএম স্কুলের মেলায় নারীঘটিত বিষয় নিয়ে মানিক ও পিয়ালের সাথে ঝামেলা হয়। এর জের ধরেই শনিবার রাতে মানিককে কোপায় পিয়াল। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে বিএম স্কুলের বৈশাখী মেলায় বসে পিয়ালের প্রেমিকাকে উত্ত্যক্ত করে মানিক ও তার সহযোগীরা। ওই সময় মেয়ের শ্লীলতাহানিও করা হয়। পরে পিয়াল এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মানিক ও তার সহযোগিরা তার ওপর হামলা চালায়। এর জেরেই মানিকের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শেবাচিমে চিকিৎসাধীন মানিক জানান, কোনো কারণ ছাড়াই পিয়াল তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। পূর্ব থেকেই তার ওপর পিয়ালের অক্রোশ ছিল বলে অভিযোগ করেন মানিক।
ছাত্রলীগ কর্মী পিয়াল জানান, মানিক ছাত্রদল কর্মী ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ছাত্রলীগ কর্মী উজ্জ্বলের সাথে মিলে এখন সে ছাত্রলীগ কর্মী হয়েছে।
পিয়ালের দাবি, মানিক এর আগে কলেজে বসে প্রকাশ্যে একাধিক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করেছে। এরপর সে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন স্থানে বসে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। মূলত এ কারণে প্রতিবাদ করা হয়েছে।