স্থানীয় বাজারে উঠতি ফসলের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় বরিশালের আগৈলঝাড়ায় চলতি বোরো মৌসুমে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হবার সংশয় দেখা দিয়েছে।
গত ৮মে বরিশাল বিভাগের মধ্যে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সরকারী খাদ্য গুদামে উপজেলা ধান-চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুনীল কুমার বাড়ৈ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা রুবিনা পারভীন, উপ-খাদ্য পরিদর্শক ও খাদ্য গুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. জসীম উদ্দিন ধান চাল ক্রয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
সূত্র মতে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৬৭৫ মেট্টিক টন এবং চাল ৫৫০ মেট্টিক টন।
উপ-খাদ্য পরিদর্শক ও খাদ্য গুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, চাষী পর্যায় থেকে প্রতি কৃষক তাদের নামের কৃষি কার্ডের অনুকুলে ১ থেকে সর্বোচ্চ ৩মেট্টিক টন ধান সরকারের নির্ধারিত ২৭টাকা কেজি দরে প্রতি মন ১০৮০টাকায় গোডাউনে বিক্রি করছেন। অন্যদিকে উপজেলার মিল মালিকদের সাথে চাল ক্রয়ের জন্য চুক্তি অনুযায়ি তারা চাল সরবরাহ করছেন।
চেঙ্গুটিয়া গ্রামের চাষী আহেম্মদ আলী হাওলাদার জানান, স্থানীয় বাজারে ধানের মন বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে ৯শ ৫০টাকায়। তবে সরকারীভাবে তিনি ধান বিক্রি করেছেন ১০৮০টাকায়। এবছর কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই ধান বিক্রি করতে পেরেছেন তিনি।
জসীম উদ্দিন আরও বলেন, চাষী পর্যায় থেকে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রার জন্য ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত সময় রয়েছে। তবে এবছর কৃষকেরা তাদের উঠতি ফসলের স্থানীয় বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় সরকারী গোডাউনে ধান বিক্রিতে কিছুটা অনীহা প্রকাশ করছেন। ধানের স্থানীয় বাজার মূল্য কম থাকলে এতদিনে লক্ষ্যমাত্রার পুরো ধান ক্রয়ই হয়ে যেতো। তিনি বলেন, ৩০ মে পর্যন্ত ১৭০ মেট্রিক টন ৬শ কেজি ধান ও ২৪৫ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হয়েছে গোডাউনে।
এবছর গোডাউনে কৃষকের ধান বিক্রি করতে কোন রকম অসুবিধায় পরতে হচ্ছে না। ধান নিয়ে আসা মাত্রই তা মেপে গোডাউনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা পুরণে শংঙ্কা প্রকাশ করলেও এখনো সময় আছে জানিয়ে হয়তো সরকারের ধান ক্রয় করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জণ করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওসিএলএসডি জসীম উদ্দিন।