বরিশাল বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৭ জন। বুধবার (৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে ৬২২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা এই বিভাগে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। শনাক্তের হার ৬৯.১৪ শতাংশ।
এর আগের দিন ২৪ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল জন। আর সর্বশেষ বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০ হাজার ১৫৪ জনে। এ ছাড়া একই সময়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গেল ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল জেলায় চার ও ঝালকঠিতে একজনসহ বিভাগে মোট পাঁচজন করোনা রোগীর মৃত্যু শনাক্ত হয়েছে, যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৩৩১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, মোট আক্রান্ত ২০ হাজার ১৫৪ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭০ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ শনাক্ত ১৭৩ জন নিয়ে মোট আট হাজার ৭০৩, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ৬০ জন নিয়ে মোট ২৬৭৯ জন, ভোলা জেলায় নতুন ৩০ জনসহ মোট ২১৪৭ জন।
পিরোজপুর জেলায় নতুন ১২১ নিয়ে মোট ২৭০৪ জন, বরগুনা জেলায় নতুন ৭৫ নিয়ে মোট আক্রান্ত ১৬৪৭ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ১৬৩ জন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৭৪ জন।
শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে, যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২১৮ জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৫৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৫৬৮ জনের মধ্যে ৩৬ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৪৬ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১২ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২১০ জন রোগী চিকিৎসাধীন। যাদের মধ্যে ৪৯ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৬১ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। যার মধ্যে ৬৯.১৪ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।