বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) গত বছরের ১৭ মার্চে করোনা ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে গতকাল শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ১৩৭৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ৪২২ জন ছিলেন করোনা আক্রান্ত। এই সময়ে করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হযেছেন ৭১৮৮ জন রোগী। পরিচালক কার্যালয় থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো রিপোর্টে এই তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে, শেবাচিমে করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন গত মে মাসের পর সর্বনিম্ন ৩৩ জন রোগী। এছাড়াও মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে সব শেষ নমুনা পরীক্ষায় ৬.৭৭ ভাগ করোনা শনাক্ত হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয় থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলো গত মে মাসের পর সর্বনিম্ন ৩৩ জন রোগী। বিগত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন ৫ জন রোগী। একই সময়ে নানা উপসর্গ নিয়ে ৬ জন রোগী করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন।
বরিশাল মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় গত শুক্রবার রাতের সব শেষ রিপোর্টে ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৬.৭৭ ভাগ।
এর আগে বৃহস্পতিবারের রিপোর্টে ৫.১৭ ভাগ, বুধবার ৯ ভাগ, মঙ্গলবার ৪.৯৬ ভাগ, সোমবার ৭.২৯ ভাগ, রবিবার ৫.৩৯ ভাগ এবং গত শনিবার বরিশালে আরটি পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর সর্বনিম্ন ১.১১ ভাগ করোনা শনাক্ত হয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল বরিশাল মেডিকেল কলেজে আরটি পিসিআর ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর গত ৫ জুলাই সর্বাধিক ৭৩.৯৪ ভাগ করোনা শনাক্ত হয়।