খোকন হাওলাদার, গৌরনদী(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ
বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন। এদের মধ্যে আয় ও সম্পদ বেশি রয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সরকারের পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন নিরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী মর্যদা) ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর। অন্যদিকে শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এম জহিরউদ্দিন স্বপন। আর সবচেয়ে বেশি মামলায় এগিয়ে বিএনপির আরেক প্রার্থী প্রকৌশলী আবদুস সোবহান।
বরিশাল-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর আয় ও সম্পদ দুইই বেড়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী ওই সময় তার বার্ষিক আয় ছিল ২৪ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। আর একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী তার সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৪৮ লাখ ৩৫ হাজার ১৩৭ টাকা। অর্থাৎ তার আয় বেড়েছে দুই কোটি ২৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৯৯ টাকা।
আগে তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল দুই কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৪ টাকার। বর্তমানে এর পরিমাণ ছয় কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৩৭ টাকা। এছাড়া তার স্ত্রী সাহারার ১ কোটি ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪৭ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। স্বর্ণালংকার রয়েছে ১ লাখ টাকার।
হলফনামা অনুযায়ী, স্বশিক্ষিত আবুল হাসানাত পেশায় ব্যবসায়ী। বর্তমানের তার বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। অতীতে অস্ত্র আইন ও দুর্নীতি দমন আইনে ১০টি মামলা ছিল। মামলাগুলো থেকে বেকসুর খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।
এদিকে এই আসনে শিক্ষাগত যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছেন সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেয়া জহির উদ্দিন স্বপন। তার বিরুদ্ধ একটি মামলা বিচারাধীন। পেশায় ব্যবসায়ী এই নেতা বছরে কৃষি, ব্যবসা, বাড়িভাড়া ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপদেষ্টার পদে থেকে আয় করেন ১৪ লাখ টাকার বেশি। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে প্রায় তিন কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে তার।
অপরদিকে বরিশাল-১ আসনে সবচেয়ে বেশি মামলা আছে বিএনপির আরেক মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে। বিএসসি ডিগ্রিধারী আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে বর্তমানে সাতটি মামলা রয়েছে। সাংসারিক কাজে যুক্ত এই নেতা বাড়ি ভাড়া দিয়ে বছরে আয় করেন ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা। আর ব্যবসা থেকে তার আয় হয় এক লাখ ৫০ হাজার টাকা। ২৩ লাখ টাকা দামের অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তার। ৪০ লাখ টাকার কৃষি এবং প্রায় ১২ লাখ টাকার অকৃষি জমির মালিক তিনি।
এছাড়া এই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মেহেদী হাসান রাসেল সরদার উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পাস। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। ব্যবসা থেকে বছরে আয় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। নগদ টাকা রয়েছে ৫৫ হাজার। ৮০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে তার। এছাড়া ৩ লাখ টাকা মূল্যের ২টি বাড়ি রয়েছে রাসেল সরদারের।
জাকের পার্টির মো. বাদশা মিয়া দুবাই প্রবাসী। সেখানে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে বছরে আয় করেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। স্বশিক্ষিত মো. বাদশা মিয়ার বরিশাল নগরী ও গৌরনদীতে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের দুটি বাড়ি রয়েছে। বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ তার বছরে আয় হয় ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া দেড় লাখ টাকার ৩ একর কৃষি জমি রয়েছে।