নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:- শহীদ মিনার নেই তারপরও ভাষা আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিশু শিক্ষার্থীরা কাঁদা মাটি বাঁশ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে জানিয়েছেন শ্রদ্ধা। রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌর এলাকার চিনাশো সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা মাটি বাশ দিয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে ভাষা শহীদদের জানিয়েছেন শ্রদ্ধা । মঙ্গলবারে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করে ২১ শে ফেব্রুয়ারি বুধবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছেন । ফলে এভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সোনামনিরা । জানা গেছে ১৯৯০ সালের দিকে তানোর টু মুণ্ডুমালা রাস্তার উত্তরে চিনাশো মোড়ের পশ্চিমে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। নির্মাণের পর ২০০০ সালে এলজিইডি থেকে চার কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবন তৈরী করা হয় । স্কুলটির সামনে জায়গা থাকলেও প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ২৮ বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ হয়নি শহীদ মিনার। গত বুধবার বিকেলের দিকে মুণ্ডুমালা থেকে আসার পথে স্কুলটির দিকে নজর দেয়া হলে দেখা যায় অস্থায়ী শহীদ মিনার। স্কুলের পাশপাশে ওই এলাকার বেশকিছু শিশুরা খেলাধুলা করছিল তারাই জানান মঙ্গলবারে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করেছে সকলে মিলে। অস্থায়ী শহীদ মিনারটির নিচে দেয়া আছে কাঁদা মাটি । কাঁদামাটির উপরে বাঁশের কাবারি দিয়ে ৫টি খুটি দিয়ে সে সবে সাদা কাগজ দিয়ে জড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং উপরে হালকা লাল কালার দিয়ে পতাকাকে বুঝানো হয়েছে। স্কুলটিতে ১০৭ শিক্ষার্থী রয়েছে । স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ জানান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এমন অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করেন শিক্ষার্থীরা । দীর্ঘ ২৮ বছরেও মিলেনি শহীদ মিনার । আবার অনেক স্কুলে শহীদ মিনার থাকলেও পালন করা হয়না দিবস বলে ক্ষোভও প্রকাশ করেন । উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শামিম আহম্মেদ খান বলেন বাংলা ভাষা আমাদের হৃদয়ের ভাষা । যারা বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি অবশ্যই শ্রদ্ধা থাকতে হবে। চিনাশো স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে শহীদদের প্রতি যে ভালোবাসা শ্রদ্ধা দেখিয়েছেন তা অত্যান্ত ভালো উদ্দ্যেগ । অনেক স্কুলে শহীদ মিনার নেই । নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।