নয়া আলো ডেস্ক-
যুক্তরাষ্ট্র: ” মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে ২য় সর্বোচ্চ ব্যক্তি, ডেপুটি সেক্রেটারী অব স্টেট এন্টনী ব্লিনকেন বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক হত্যাকান্ডের জন্য সরকার বিরোধী দলকে দায়ী করলেও, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এসব ঘটনার জন্য আল কায়দা কিংবা ডাস সংশ্লিস্ট জঙ্গী গোস্টিগুলোই দায়ী,”।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক গুরুত্বপূর্ন শুনানীতে জনাব ব্লিনকেন এসব কথা বলেন।
হাউজ ফরেন এফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান এড রয়েসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানীর প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি বলেন,” বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন অঞ্চল এশিয়ার গনতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত জরুরী বিষয় “।
” America as a Power : Challenges and Opportunity in Asia ” নামক এই শুনানীতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিএনপির বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী এবং ওয়াশিংটন ডিসি বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ জে হোসেন।
এই শুনানীতে বাংলাদেশ বিষয়ক জরুরী প্রশ্নটি উত্থাপন করেন হাউজ ফরেন এফেয়ার্স কমিটির অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য কংগ্রেসম্যান স্টিভ শ্যাবোট। কংগ্রেসম্যান শ্যাবোট বলেন,” বাংলাদেশ সর্বশেষ সাধারন নির্বাচন যেটা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পুনঃনির্বাচিত হয় ও খালেদা জিয়ার দল ঐ নির্বাচন বর্জন করে। এনিয়ে দুই দলের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক বিরাজ করছে যা দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল রয়েছে ।
তিনি বলেন, আমরা জানি বাংলাদেশ বরাবরই একটি উদারপন্থী মুসলিম দেশ হিসাবে পরিচিত কিন্তু সাম্প্রতিককালে একজন সমকামী অধিকার কর্মী এবং একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীর শিক্ষককে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, যার সাথে ইসলামী চরমপন্থী জঙ্গী সংগঠন গুলোর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এই বিষয়ে আপনার (ডেপুটি সেক্রেটারী অব স্টেট জনাব ব্লিনকেন) বক্তব্য আশা করছি।
এই প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি সেক্রেটারী অব স্টেট এন্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ন বিষয়টির অবতারনা করার জন্য। এটা আমাদের জন্য একটি জরুরী বিষয়। গত কয়েকমাসে বাংলাদেশে বেশ কিছু সন্ত্রাসী হামলার বিষয় ঘটেছে, বিশেষ করে অতি সম্প্রতি হত্যাকান্ড গুলোর সাথে আন্তর্জাতিক ইসলামী জঙ্গী সংগঠন আলকায়দা কিংবা ড্যাস সংশ্লিষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলোর জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায় আমরা বাংলাদেশ এবং ভারত সরকারের যৌথ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে যে কোন ইসলামী চরমপন্থী গোষ্টির বিস্তার রোধ কল্পে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছি “