ওয়াশিংটন:- যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির বিভিন্ন বাসষ্ট্যান্ডে ’বাংলাদেশ ইজ নট এ মিডল ইনকাম কান্ট্রি’ সম্বলিত বিজ্ঞাপন প্রচার করছে এইডস হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন (এএইচএফ) পরিচালিত এডভোক্যাসি গ্রুপ রেইজ দ্যা মাইক (মিডল ইনকাম কান্ট্রি)। প্রচারিত এই বিজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশের পার ক্যাপিটা ইনকাম প্রায় ৪.৮০ ডলার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পার ক্যাপিটা ইনকাম প্রায় ১৭২ ডলার। বিশ^ব্যাংকের লগো সম্বলিত এইডস হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন (এএইচএফ) পরিচালিত এডভোক্যাসি গ্রুপ রেইজ দ্যা মাইক (মিডল ইনকাম কান্ট্রি) এর এই পোষ্টার এখন ওয়াশিংটন ডিসির বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে।
এইডস হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন (এএইচএফ) পরিচালিত এডভোক্যাসি গ্রুপ রেইজ দ্যা মাইক (মিডল ইনকাম কান্ট্রি) এর মতে বিশ্বব্যাংকের গৃহীত বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করে ব্যাংকের ওয়াশিংটনস্থ হেডকোয়ার্টার এর সামনে বিক্ষোভও করেছে। তাদের মতে, বিশ্বব্যাংকের গৃহীত বিভিন্ন নীতির ফলে খুব শীঘ্রই মধ্য-আয়ের দেশগুলিতে অনেক সেবামুলক নাগরিক সমাজ সংগঠনকে বন্ধ করতে বাধ্য করতে পারে। কারণ আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলি বিশ^ব্যাংকের এই নীতির ফলে স্বল্প-উন্নত দেশগুলি থেকে তাদের সহযোগিতা ও সমর্থন সরিয়ে নিতে পারে। একই সঙ্গে এইচআইভি এবং যক্ষ্মার মতো প্রাণঘাতী রোগীরা নিম্ন-আয়ের দেশগুলির রোগীদের তুলনায় ওষুধের জন্য ১০ গুণ বেশি মুল্য দিতে বাধ্য হবে। যদিও নি¤œ আয়ের দেশ ও মধ্যম আয়ের দেশের মধ্যে দৈনিক আয়ের পার্থক্য ১ ডলারের কিছু বেশি হবে।
এইডস হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন (এএইচএফ) পরিচালিত এডভোক্যাসি গ্রুপ রেইজ দ্যা মাইক (মিডল ইনকাম কান্ট্রি) এর মতে বিশ্বব্যাংকের গৃহীত বিভিন্ন নীতি দারিদ্র্য বিমোচনের বিপরীত প্রভাব রয়েছে। মাইক (মিডল ইনকাম কান্ট্রি) এখন বিশ্বের ৭৫% দরিদ্র এবং এইচআইভি সহ বিশে^র দুই-তৃতীয়াংশ লোক এর ঘর হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
এইডস হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন (এএইচএফ) পরিচালিত এডভোক্যাসি গ্রুপ রেইজ দ্যা মাইক (মিডল ইনকাম কান্ট্রি) এর এই প্রচারনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করলে দূতাবাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, তারা এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না। তবে দূতাবাস এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করবে।
Please follow and like us: