নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:- রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের ময়েজ উদ্দীন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের মেধাবী ছাত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা মফিজ সোনারের নাতনি মারিয়াম সুলতানা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও মূল হোতাসহ আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ সময় নরদাশ ডিগ্রি কলেজ মাঠে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিহতের সহপাঠী, শিক্ষক মন্ডলী, বাজার বণিক সমিতি, নরদাশ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর ব্যানারে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে প্রায় দুই হাজার লোকের উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষিকা বিউটি রানী, শান্তি সংঘের সভাপতি আঃ মান্নান, প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষক শ্রীমান আলী,রেজাউল ইসলাম বিএসসি, সহপাঠী জেসমিন আক্তার কেয়া,নাসরিন আক্তার মুক্তি, সমাজ সেবক সাইফুুল ইসলাম সাঈদ, নিহতের বাবা মামুনুর রশিদ প্রমুখ। নিহতের বাবা কান্না জড়িত কন্ঠে বক্তব্য দেয়ার সময় এক আবেগ ঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। বক্তারা উলে¬খ করেন মেধাবী শিক্ষার্থী মারিয়াম হত্যার সুষ্ঠু বিচার না হলে এলাকায় এ ধরণের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে, এ ঘটনায় নরদাশ এলাকার অভিভাবকরা তাঁদের সন্তান-সন্ততি নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতি হারও আগের তুলনায় কমে গেছে। ছেলে-মেয়েকে একাএকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। উলে¬খ্য গত ২২ জানুয়ারি উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের বেনিপুর গ্রামের কৃষক মামুনুর রশিদের দশম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে মারিয়াম সুলতানাকে পার্শ্ববর্তী মাদিলা গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে ইসলাম আলী ও তাঁর তিন সহযোগি বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নিহতের মা শিউলি খাতুন বাদী হয়ে মূল আসামীসহ চার জনের নামে বাগমারা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- উপজেলার মাদিলা গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে সুজন আলী,একই গ্রামের জসীম উদ্দীনের ছেলে এনামুল হক এবং বেনিপুর গ্রামের গুলবর হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন। এদের মধ্যে শুধু রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল হোতাসহ অন্য দু’জন গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বাগামারা থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহম্মেদ এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি “আমাদের সময়”কে বলেন পুলিশ, র্যাবসহ কয়েকটি এজেন্সি আসামী গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে।