এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস : বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড় বাঁশবাড়িয়া পূর্বপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি প্রায় ৩বছর আগে পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হলেও নতুন ভবন ও বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে কাস করছেন শিক্ষার্থীরা। কিছু দিন বিদ্যালয়ের পাশে অস্থায়ী ভাবে টিনসেডের ঘর নির্মান করে বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম চললেও সেটিও ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে বাধ্য হয়েই পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা ভবনেই কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৯৪ সালে নির্মিত এ বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদে দেয়া দিয়েছে ফাটল, পলেস্তার খসে পরেছে প্রতিটি দেয়াল থেকে আর ভবনের পিলার গুলোর খোয়া, সুরখি খসে পরার কারনে শুধু রডের উপর দাড়িয়ে আছে ভবনটি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অফিস ভবনটি আছে আরো ঝুকির মধ্যে। ভবনের ছাদটি ধসে পড়া বাঁশের খুটি ও কাঠের পাটাতন দিয়ে ভবনের ছাদ ঠেক দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঝুকি এড়াতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য টিনসেডের ঘর নির্মান করে বিকল্পপাঠদানের ব্যবস্থা করা হলেও প্রায় এক মাস ধরে টিনসেডের ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ঝুকিপূর্ণ ভবনে জীবনের ঝুকি নিয়ে কাস করছে ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফা আক্তার বলেন, প্রায় ৩ বছর আগে বিদ্যালয়ের ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়। ভবনের ছাদটি রয়েছে চড়ম ঝুকির মধ্যে যে কোন সময় ভবনটি ভেঙ্গে পড়তে পারে। বিদ্যালয়ের পাশেই অস্থায়ী টিনসেডের ঘর নির্মান করে আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু টিনসেডের ঘরটি খুব একটা ভালো অবস্থায় না থাকায় ঝুকি নিয়েই পরিত্যাক্ত ভবনে আমাদের কাস নিতে হচ্ছে।
এব্যাপারে বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিা কর্মকর্তা অশোক কুমার সমাদ্দার বলেন, জেলার ঝুকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন গুলোকে সনাক্ত করে ইতি মধ্যেই একটা তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়া পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য টিনসেড ঘর নির্মান করে বিকল্প ব্যাবস্থা করা হয়েছে। অচিরেই ঝুকিপূর্ণ এসব বিদ্যালয় নতুন ভবন নির্মন করা হবে।