
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট অফিস:- বাগেরহাটেরচিতলমারী উপজেলার আমবাড়ী গ্রামের যুবক মোছাদ শেখের (৩৫) মৃত্যুকে ঘিরে দুটি পক্ষের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। মৃতের পরিবার এটাকে পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবী করছে। অপরদিকে জায়গা-জমি সংক্রান্ত মোছাদের মামলার আসামী এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবী করেছেন। তবে তার মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় নানা গুঞ্জন ও বিভিন্ন মহলের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চলছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
মৃত মোছাদের পিতা বৃদ্ধ আ: আউয়াল কান্না জড়িতকন্ঠে জানান, ৯ মে (বুধবার) রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার ছেলে মোছাদ শেখ একটি বিরোধপূর্ণ জায়গার কাগজপত্র নিয়ে প্রতিবেশী আলামিন ও জোতিশকে নিয়ে ইউপি সদস্য ছিদ্দিক মোল্লার বাড়ীতে যায়। দীর্ঘ সময় জায়গা জমির বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা শেষে তারা রাত বারটার দিকে বাড়ীর উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় মোছাদ শেখ তার বাড়ীর উঠানে পৌছাইয়া চিৎকার দিয়ে পড়ে যায়। তার চিৎকার শুনে ঘর থেকে তিনি ও পরিবারের অন্য সদস্যরা বেরিয়ে আসেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী গ্রাম্য ডা: অলিয়ার রহমানকে ডেকে মোছাদের চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করা হয়। ডা: অলিয়ার ভ্যান চালক জাহাঙ্গীর ও মোছাদকে নিয়ে চিতলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডা: তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মোছাদের পিতা আরো জানান, তার ছেলের পিঠে সিরিঞ্জের সূচ ফুটানোর দাগ রয়েছে। প্রতিবেশী শাহাজান সর্দারের সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত ৩/৪টি মামলার বাদী ছিল তার ছেলে মোছাদ শেখ। তাই সহজে জমি ভোগ করতে পারবে এই উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে মোছাদকে হত্যা করা হয়েছে। আর এর পিছনে একটি শক্তিশালী মহল কাজ করছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে শাহাজান সর্দার জানান, তার ৩/৪টা মামলার বাদী মোছাদ শেখ একথা ঠিক। এটা হত্যা কিনা স্বাভাবিক মৃত্যু তা ময়না তদন্তে জানা যাবে। অহেতুক তাকে হয়রানী করার জন্যে এটাকে হত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে। সেই সাথে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।
তবে চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) অনুকুল সরকার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মৃতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।