
বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিএনপি নেতা ফরাজী মনিরুল হক গত ২৩ জুন সন্ধ্যায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ সেন্ট্রাল কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। বাগেরহাটে দলীয় ও ব্যক্তিগত কাজকর্ম সেরে গত ২৫ মে সন্ধ্যায় তিনি ঢাকায় পৌঁছান। রাত ১১ টায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তৎক্ষণাৎ মামলা সম্বন্ধে সে না জানলেও পরবর্তীতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের একটি মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করে। ২৭ দিন কারা ভোগ করার পর গত ২৩ শে জুন ফরাজী মনিরুল হক জামিনে মুক্তি পান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলা বিএনপি নেতা ফরাজী মনিরুল হক বলেন, আমি বাগেরহাট -৪ (মোরেলগঞ্জ – শরণখোলা) আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র পক্ষে মনোনয়ন প্রত্যাশী। মোরেলগঞ্জ শরণখোলা উপজেলায় বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি, যে কারণে নেতাকর্মীরা আমার কাছে আসছে, দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য সহায়তা করছে। আমার নিজ দলীয় প্রতিপক্ষ ঈর্ষাম্বিত হয়ে আমার নামে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এতদিন তারা ঢাকায় বসে এলাকার বিএনপি নিয়ন্ত্রণ করছে। দ্বিতীয় কোনো নেতা তৈরি হতে দেয় নাই। যখন থেকে আমি বাগেরহাট জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী এবং সাংগঠনিক অবস্থা মজবুত করার জন্য কাজ করছি। সেই থেকে তারা ঢাকায় বসে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে এবং আমাকে হয়রানি করছে ।সর্বশেষ গত ২৫ মে আমাকে আমার বাসা থেকে গোয়েন্দা সংস্থার একটি দলকে ম্যানেজ করে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।
আমি বাগেরহাট জেলা বিএনপি কে শক্তিশালী করার জন্য সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। তবে তাদের মত ঢাকায় বসে নয়। আমাকে আঘাত করা মানে জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মীকে আঘাত করা । তাদের কাছে দল বা দলের কর্মী কোনটাই নিরাপদ নয় যা ইতিপূর্বে দেখা গেছে। আমার নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় অবশ্যই আমি অব্যাহতি পাবো।
Please follow and like us: