ঘটনাটি সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিজুয়ারা নামক অঞ্চলের। জানা গেছে, স্থানীয় ঠাকুরান নদীর খাঁড়িতে কাঁকড়া ধরছিলেন গৌতম মল্লিক। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মীনা ও দুই প্রতিবেশী। হঠাৎ এ চারজনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি হিংস্র বাঘ। কিন্তু অন্যদের ছেড়ে দিয়ে শুধু গৌতমকে মুখে নিয়ে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে যায় বাঘটি।
এ সময় গৌতমকে রক্ষায় বাঘের পিছু নেন তার স্ত্রী মীনাসহ তিনজন। তারা কাঁকড়া ধরার রড নিয়ে ছুটতে থাকেন। গৌতমও বাঘের মুখ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালান। সুন্দরবনের জঙ্গলে এমন অসম লড়াইয়ের একপর্যায়ে বাঘকে বাগে পেয়ে যান মীনা। তখন রড নিয়ে বাঘের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কয়েকবার মার খাওয়ার পর বাঘ গৌতমকে ছেড়ে দিয়ে জঙ্গলে ঢুকে যায়। তখন গৌতম রক্তাক্ত। বাঘের নখের আঁচড়ে সারা শরীরে ক্ষতচিহ্ন। পরে নৌকায় করে তাকে নেয়া হয় পার্থপ্রতীমার মাধবনগর ব্লক হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, গৌতম পার্থপ্রতীমার সত্যদাসপুরের বাসিন্দা। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মীনা বলেন, জঙ্গলে বাঘের ক্ষমতা কোনোদিন দেখিনি। অনেক চেষ্টা করে তবে ছাড়াতে পেরেছি। বাঘের মুখ থেকে স্বামীকে ছাড়ানোর পর যেন মীনার সাহস আরো বেড়ে গেছে। তাই তিনি বললেন, স্বামী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে আবার কাঁকড়া ধরতে যাবেন তারা।
সূত্রঃ- আজকাল
Please follow and like us: