১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ২৬শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • অপরাধ দূনীর্তি
  • বান্দরবানের লামা উপজেলায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে বনের গাছ হুমকির মুখে পরিবেশ




বান্দরবানের লামা উপজেলায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে বনের গাছ হুমকির মুখে পরিবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : ফেব্রুয়ারি ১৭ ২০১৮, ২০:৪৮ | 989 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

রিমন পালিত, বান্দরবান প্রতিনিধি:- পার্বত্য বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় প্রকাশ্যে চলছে ২৭টি ইটভাটায় ড্রাম চিমনি ও পাকা চিমনির ইটভাটার কার্যক্রম। নীতিশালা লঙ্ঘন করে বনের মাঝে ও লোকালয় ও কৃষিজমিতে গড়ে উঠেছে এসব পাহাড়। ফলে যে কোন সময় ঘটতে পারে পাহাড় ধসের মত ঘটনা। এ ব্যাপারে লামা নির্বাহী কর্মকর্তার ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সায়েদ ইকবাল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, লামায় কোন ইট ভাটার বৈধ কোন কাগজ পত্র নেই। সব ইট ভাটা অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন ইতিমধ্য কয়েকটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে মাটি কাটার অপরাধে জরিমানা করেছে। লামা উপজেলার কয়টি ইটভাটা রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে ২১ টি, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৪টি গজালিয়া ইউনিয়নে ১টি আর লামা পৌরসভার ১টি ইটভাটা রয়েছে। লামা সদর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে ফাইতংয়ের ইটভাটা গুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২১টি ইট ভাটায় ইট তৈরী করতে চুল্লিতে ভরছে বনের গাছ। জ্বালানী হিসাবে বনের গাছ কেটে সারি বদ্ধ ভাবে স্তুপ করে রেখেছে এবং পাহাড় কেটে চুল্লির পাশে মাটি পাহাড় সমান স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এসব ইট ভাটায় মাটি কাটার জন্য প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছে বোলডোজার আর স্ক্যাভেটর (মাটির কাটার যন্ত্র)। ইট ভাটায় কমরত ম্যানেজারের মাধ্যমে জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্য ইটভাটায় ইট পুড়ানো শুরু করেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকল ইট ভাটার চুল্লি দিয়ে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। ইট ভাটায় বনের গাছ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছে। চুল্লির গোড়ায় সারিবদ্ধ ভাবে বনের গাছ সাজিয়ে রেখেছে। আর এ ইটভাটার মাঠে লাখ লাখ কাঁচা ইট বানিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। পাহাড় থেকে মাঠি কেটে এনে পাহড়ের মতো করে স্তুপ করে রেখেছে।


লামা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে মোট ২৭টি ইটভাটা রয়েছে।
ইট ভাটার এক ম্যানাজারের সাথে আলাপ কালে তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গত ১৯ নভেম্বর ইটভাটা আগুন দিয়ে ইট পুড়ানোর কাজ শুরু করছি। প্রথম রাউন্ডে ইটভাটার ভিতর ৫লাখ ইট দিয়েছি। আল্লাহ সহায় থাকলে এ বছর ৭ থেকে ৮ রাউন্ড ইট অর্থাৎ প্রায় ৪০ লাখ ইট বের করতে পারবে বলে তিনি জানান। জ্বালানীর জন্য কয়লা নাকি লাকড়ী ব্যবহার করছেন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা পাহাড়ের গাছও লাকড়ী ব্যবহার করে থাকি। কয়লা দিয়ে ইট পুড়ালে ব্যয় বেশী হয়। প্রতি রাউন্ডে কি পরিমান জ্বালানী কাঠের প্রয়োজন হয় জানতে চাইলে ম্যানাজর উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।
ফাইতং ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি কবির আহম্মদ তিনি বলেন, লাখ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়া ইটভাটা মালিকরা ইটের ব্যবসা করছে। আমরা সকলের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিবছর ইটভাটা করে থাকি। আমরা ১৩টি ইটভাটার জন্য হাইকোর্টে রিট করেছি। অন্যগুলো এই প্রক্রিয়ায় রয়েছে। কোন কোন ইটভাটার মালিক রিট করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। এই তথ্য গুলো আপনাদের দেয়া যাবে না বলে মুঠোফোনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দিন কোম্পানী বলেন, যত্রতত্র ভাবে ইটভাটা গড়ে উঠায় তার ইউনিয়নে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান। এবং পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। ইটভাটার মালিকরা ইউনিয়ন পরিষদের কোন আইন কানুন মানেনা। গায়ের জোরে সব কাজ করে। প্রতিদিন ২শত থেকে আড়াইশ ত ছোট- বড় ট্রাক দিয়ে ইট পরিবহনের দায়ে সরকারী অর্থায়নে নির্মিত সকল রাস্তা গুলো ভেঙ্গে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদকে এক টাকাও ট্যাক্স দেয়না
এ ব্যাপারে বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বনিক বলেন, লামা উপজেলায় গড়ে উঠা ইটভাটা করার কোন লাইসেন্স নেই। গড়ে ওঠা ইটভাটা গুলো অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠেছে। এই ইটভাটা গুলো বন্ধে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দ্রুত আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET