
রিমন পালিত: বান্দরবান প্রতিনিধি:
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’কে ঘিরে পাহাড়ি পল্লীতে গুলোর ঘরে ঘরে চলছে উৎসবের আমেজ। ইতোমধ্যে এলাকা ভিত্তিক নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবকে বরণ করে নেওয়ার যাবতীয় আয়োজন।
ক্যায়াং দর্শন ও সমবেত প্রার্থনার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ উৎসব। কেন্দ্রীয়ভাবে বান্দরবানলামা ও আলীকদম উপজেলা সদর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি সম্প্রদায়ের পাড়াগুলোর বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন, ক্লাব, সমিতির উদ্যোগে সাংগ্রাইং পোয়ে জলকেলি উৎসব পৃথক ভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির নেতারা।
উৎসবের দিনগুলোতে আনন্দে হয়ে উঠবে পাহাড়ি ও বাঙালির সম্প্রীতির এক মিলনমেলা। ১৪ এপ্রিল শুরু হয়ে উৎসব শেষ হবে ১৭ এপ্রিল। শান্তি পূর্ণ বৈসাবি উৎসর পালনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালির মধ্যে শান্তি -সম্প্রীতি ও ঐক্য আরো সুদৃঢ় হোক এই প্রত্যাশা এখন সকলের।
লামা উপজেলা কেন্দ্রীয় ‘বৈসাবি’ উৎসব উদ্যাপন কমিটির সদস্য মংচাই মার্মা ও ফাইতং হেডম্যান পাড়ার উৎসব আয়োজক কমিটির আহবায়ক থোয়াইন সানু মার্মা বলেন, এবারও উৎসব মুখর পরিবেশে বৈসাবি উৎসব পালিত হবে। বৈসাবিকে সামনে রেখে ৪ দিনের বর্ণাঢ্য কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ক্যয়াং দর্শন ও সমবেত প্রার্থনা, দড়ি টানাটানি, হাড়ি ভাঙ্গা, পিঠা তৈরি, ঐতিহ্যবাহী তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উঠা, পানি খেলা, সাংস্কৃতিক ও পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান।
একই কথা জানালেন আলীকদম উপজেলার উৎসব উদযাপন কমিটির নেতারা। এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বৈসাবি উৎসব শান্তি পূর্ণভাবে পালনের জন্য বৌদ্ধ কেয়াংগুলোতে আনসার ভিডিপি ও পুলিশ মোতায়েনসহ বিশেষ নজর রাখা হবে।