১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




বামনায় গরু চুরির অভিযোগে ছেলে বিরুদ্ধে মায়ের মামলা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : মার্চ ২৫ ২০১৮, ১২:৩৯ | 737 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

মিজানুর রহমান সুমন:- বরগুনার বামনা উপজেলার ভাইজোড়া গ্রামে অতুল হাওলাদার নামে একজনকে গরু চুরির নাটক সাজিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। তার জন্মধাত্রী মা প্রমিলা রানী(৭৫) ছেলের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। এঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
জানাগেছে, সিডর পরবর্তী ব্র্যাক কর্তৃক একটি গরু ত্রান পায় অতুল হাওলাদারের মা প্রমিলা রানী। তিনি গরুটি তার বড়ছেলে অতুলকে লালন পালনের জন্য তখন দিয়ে দেয়। ধীরে ধীরে গরুটি একএক করে ৪টি বাছুর প্রসব করে। এখন ওই বাছুর গুলো স্বক্ষম গরু। ওই ত্রান পাওয়া গরুটির এমন উথ্যান দেখে মা প্রমিলা রানী তার ছেলের কাছ থেকে ওই গরুটি সহ বাকি চারটি গরুও নিজের দাবী করে। বড় ছেলে তাকে ওই গরুগুলি না দেওয়ায় মা বামনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। বামনা থানার এসআই কাইউম ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের বাড়ীতে গিয়ে মাকে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য ছেলেকে অনুরোধ করে। ও প্রতি মাসে এক হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু মা তাতে রাজী হয়নি। তাকে গরুগুলোই দিতে হবে। ছেলে অতুল হাওলাদার কোন উপায় না পেয়ে গরুগুলো তার জামাতার বাড়ী বরগুনার খাজুরতলা গ্রামে পাঠিয়ে দেয়। এর পরই মা বরগুনা পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে গরুগুলো চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করে। পুলিশ সুপার বামনা থানায় গরুগুলি উদ্ধারের জন্য নির্দেশ দেন। থানাপুলিশ খেজুরতলা গ্রাম থেকে গরু গুলি উদ্ধার করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানের জিম্মায় দেয়। চেয়ারম্যান ওই গরুগুলো পরে অতুলের মাকে দিয়ে দেয়। কিন্তু মা ওই গরুগুলো পুনরায় অন্যত্র সরিয়ে বড় ছেলে অতুলের নামে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করে। স্থানীয় সাংবাদকর্মীরা ঘটনাটি জেনে ওই সরিয়ে রাখা গরুগুলো ইউপি চেয়ারম্যার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
এঘটনায় বড় ছেলে অতুল জানায়, সে দ্বির্ঘদিন গরুগুলো লালন পালন করে আসছে। মাকে এককালীন কিছু টাকা ও প্রতি মাসে এক হাজার টাকা দিতে চেয়েছি কিন্তু তিনি তাতে রাজি হয়নি। তার ছোট ভাইয়ের পরামর্শে মা তার সাথে এমন আচারণ করছে বলে তিনি অভিযোগ করে।
অভিযুক্ত মা প্রমিলা রানী জানায়, আমায় কোন ভরণপোষন দেয়না বলে ওই গরুগুলি আমি ফেরত চেয়েছি। আমি কোন চুরির নাটক সাজাইনি।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. কাইউম বলেন, আমরা উভয় পক্ষকে ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নাই।
এ ঘটনায় ডৌয়াতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান জানায়, বড় ছেলে মাকে কোন ভরণপোষন দেয়না। তাই সে গরুগুলি ফেরত চেয়ছে। কিন্তু বড়ছেলে অতুল মাকে কোন গরু না দিয়ে উল্টো সে গরুগুলি তার জামাইকে দিয়ে দেয়। এজন্য আমি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে মায়ের কাছে ফেরত দিয়েছি।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET