স্টাফ রির্পোটার বরগুনা :
বরগুনার বামনার বিষখালী নদীতে এক জেলের বেহেন্দী জালে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। গতকাল শনিবার সন্ধায় বিষখালী নদীর রুহিতা মোহনায় আবু জাফর সিকদার(৩) নামে এক জেলের বেহেন্দী জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটি ওই জেলে বামনা সদরের মাছের বাজারে নিয়ে আসলে কোড়াল মাছটি দেখতে উৎসুক জনতার ভীর জমে। এর আগে বিষখালী নদীতে এমন সাইজের কোরাল মাছ আর জেলেদেও জালে ধরা পড়েনি। বিষখালীর নদীর মিঠা পানির যে কোন মাছ এ উপকূলে সবচেয়ে বেশী সুস্বাদু। আর বিষখালীর ইলিশ মাছ দেশের সেরা স্বাদের মাছ হিসেবে স্বীকৃত। গতকাল শনিবার সন্ধা রাতে ধরা পড়া ২০ কেজি ওজনের কোরাল মাছটি ২০জন ক্রেতা মিলে প্রতি কেজি এক হাজার টাকা দরে ২০ হাজার টাকায় কিনে নেন।
পাশর্^বর্তী বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি জেলে পল্লীর মাছ শিকারী জেলে আবু জাফর বলেন, সেই ছোটবেলা থেকে বিষখালী নদীতে মাছ ধরে আসছি। আমার জীবনে এ নদীতে এত বড় কোরাল মাছ আর পাইনি। এ নদীর পানি দারুন মিঠা বলে যে কোন মাছের স্বাদও দারুন।
তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি বামনার রুহিতা চরের মোহনায় প্রতিদিনের মতো বেহেন্দী জাল পাতেন। শনিবার সন্ধারাতে তিনি ওই জাল উত্তোলন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। একা ওই জাল তিনি টেনে তুলতে গিয়ে ভয় পান। পরে সহযোগি আর এক জেলেকে ডেকে এনে দুইজনে মিলে জাল টেনে ২০ কেজির কোরাল মাছটি তীরে আনতে সক্ষম হন। পারে নিজ গ্রামে ক্রেতা না পেয়ে বামনা উপজেলা সদরের মাছের বাজারে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে উৎসুক জনতা মাছের বাজারে ভীর করেন।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ি ইলয়াস মিয়া নয়শত টাকা কেজি ধরে মাছটি কিনে নেন। পরে ওই ব্যবসায়ি ২০জন ক্রেতার কাছে এক হাজার টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রয় করেন।
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান বলেন, বিষখালী নদীর পানি অত্যন্ত মিঠা। পানিও বেশ স্বচ্ছ। ফলে এ নদীতে যে কোন মাছের স্বাদ আলাদা। জেলের জালে ২০ কেজি ওজনের কোরাল মাছ ধরা পড়ার বিষয়টি মৎস্য সম্পদের জন্য আশার খবর। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক কালে বিষখালী নদীতে রেনু পোনা আহরণ বন্ধ হওয়ায় এ নদীতে মাছের বংশ বিস্তার ঘটছে। মৎস্য বিভাগ মনে নদীতে রেনু আহরণ বন্ধসহ মাছের প্রজনন মৌসুমে মাছধরা বন্ধ রাখতে পারলে বিষখালীর সুস্বাদু মাছে আরও সমৃদ্ধি বাড়বে।