বরগুনার বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত রবিবার দিবাগত গভীর রাতে স্যানিটারী ইন্সেপেক্টরের কক্ষের জানালার গ্রীল কেটে একটি কম্পিউটার চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এঘটনায় সোমবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বামনা থানায় বিষয়টি জানানোর ১ দিন পরে গতকাল মঙ্গলবার ওই চুরি যাওয়া কম্পিউটারটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: মো. ফজলে এলাহির কক্ষ থেকে পাওয়া যায়। এঘটনায় স্থানীয় সচেতন মহলে সৃষ্টি হয়েছে নানান গুঞ্জন। কেউ কেউ এই ঘটনাটি সাজানো নাটক বলে দাবী করেছেন।
জানাগেছে, বামনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত রবিবার রাতে স্যানিটারী ইন্সেপেক্টর মো. ফারুক আহম্মেদের রুম থেকে জানালার গ্রীল কেটে কম্পিউটারটি চুরি হয়। এই ঘটনায় মোঃ ফারুক আহম্মেদ বামনা থানায় নিজে উপস্থিত হয়ে অফিসার ইন চার্জ গাজী শাহ-নেওয়াজ কে অবিহিত করেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালের কর্মচারীরা চিকিৎসক ডা. মোঃ ফজলে এলাহির কক্ষ খুললে সেখানে ওই চুরি যাওয়া কম্পিউটারটি দেখতে পায়। বিষয়টি বামনা থানায় জানলে এসআই খোকন হাওলাদার ও এসআই মো. ফয়সাল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কম্পিউটারটি উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এঘটনায় হাসপাতালের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক কর্মচারীরা জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: জামাল মিয়া শোভনের সাথে হাসপাতালের অনেক কর্মচারীদের সখ্যতা নাই। তার বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তিনি হাসপাতাল স্টাফদের প্রতি এখন ক্ষুদ্ধ। এই ঘটনাটি তার কোন কাছের কর্মচারী ঘটিয়ে অন্যদের ফাসানোর জন্য করা হয়েছে বলে তারা জানান।
বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানীটারী ইন্সেপেক্টর মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, জানালার গ্রীল কাটা দেখে ভেবেছি কম্পিউটার চুরি হয়েছে। তবে এই কম্পিউটারটি অনেকদিন আগে ডাঃ ফজলে এলাহীর কক্ষে রাখা হয়েছে তা আমার মনে ছিলো না।
এঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জামাল মিয়া শোভন বলেন, আমি বর্তমানে ছুটিতে আছি। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। কর্মস্থলে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।