বুধবার বিরল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের ঐতিহাসিক তেঘরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট (সিএসএডাব্লিউএম) (ডিএই পার্ট) প্রকল্পের আওতায় ফার্মারস ক্লাইমেট স্মার্ট স্কুলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। দিনাজপুরের সদরপুর হর্টিকালচার সেন্টার এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ এজামুল হক এর সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এর প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ খন্দকার মুহাম্মদ রাশেদ ইফতেখার। বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাফর ইকবাল, ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হুসেন আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোস্তপা হাসান ইমাম। সঞ্চালনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ খুরশিদ হাসান। শেষে প্রধান অতিথি ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এন্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত ফার্ম হাউজে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাক সেনাদের সাথে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে এদেশের ঠিকই স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর আমাদের কিছু ছিল না। ছিল শুধু আমাদের সাড়ে সাত কোটি মানুষ আর ১ লক্ষ ৪৭ হাজার বর্গমাইল ভূ-খন্ড। বঙ্গবন্ধু এই দু’টি সম্পদকে ভরসা করে ভু-সম্পদের সঠিক ব্যবহার করে এদেশকে এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা শুরু করেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা কৃষিবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার সেই চিন্তা ভাবনা ও পরিকল্পনাকে ধারন করে কৃষিখাতকে এগিয়ে নেয়ার কাজ করে আসছে। এটা বঙ্গবন্ধুর সেই চিন্তাভাবনা থেকে সম্ভব হয়েছে। এখন আমরা স্মার্ট পদ্ধতিতে সব্জি চাষাবাদ করছি। আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন আমার উর্বর ভূ-খন্ড আছে আর আমার সাড়ে সাত কোটি বাঙালী আছে। তখন উন্নত চাষাবাদ কিভাবে হবে, উন্নত বীজ, সারের ব্যবহার, গভীর নলকূপ এগুলো নিয়ে পরিকল্পনা শুরু হয়। আগে দেশী পটল হতো, বড় বড় টিলায় চাষাবাদ করতে হতো। এখন আধুনিক চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এই পটল এখন দৃষ্টিনন্দন মাচায় উঠেছে। এটা কেন হয়েছে,
জীবনকে সুন্দর করার জন্য, এই বৈরী প্রভাবকে মোকাবিলা করার জন্য শ্রষ্টাই এগুলো তৈরী করে রেখেছেন। এখন আমরা সেটা খুঁজে খুঁজে বের করে বাস্তবে সেটা ব্যবহার করছি। মানুষের চিন্তা এতো শক্তিশালীভাবে সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন, যে এ রকম ১৩ লক্ষ পৃথিবী এক করলে যে প্রযুক্তি আছে, তার থেকেও বেশী প্রযুক্তি মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে আছে। শুধু সেটা চিন্তা করে, খুঁজে খুঁজে বের করে, এই যে বাইরে যে প্রযুক্তিগুলি এগুলো আসছে।