
ইয়ার হোসেন, ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী বেদে সম্প্রদায়। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য এখন কঠিন সংগ্রামে লিপ্ত। এতদিন তারা জীবিকার সন্ধানে যাযাবরের মতো নৌকায় করে এঘাট-ওঘাট ঘুরে বাড়াত বা গ্রামে ঘুরে ব্যবসা করত। এর মধ্যে বেশির ভাগই নানা ধরনের অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসার নামে টোককা, শিঙা লাগানোর নামে অপ-চিকিৎসা করে মানুষের কাছ থেকে আয় করত। তাদের একটি অংশ চুড়ি, থালাবাসন বিক্রি, সাপের খেলা দেখানো, পনিতে হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণ সামগ্রী খোজার কাজ করেও আয় করত। এ আয় দিয়েই চলত তাদের সংসার। কালের বিবর্তনে এসবের চাহিদা কমে যাওয়ায় তাদের ব্যবসায়ও মন্দা দেখা দিয়েছে। ফলে বেদে সম্প্রদায় ব্যবসা বদল করছে। তারা আগের ব্যবসা ছেড়ে এখন নতুন করে মৌসুমি ব্যবসা শুরু করেছে। তাদের অনেকে গ্রামে বা শহরের বিভিন্ন মেলায় অংশ নিচ্ছে। পণ্য হিসেবে থাকছে খেলনা, চুড়ি, মেয়েদের সাজগোজের নানা সামগ্রী, কসমেটিক্স। এ ছাড়া অনেকে সাপ বিক্রি করেও আয় করছে। সমাজের অবহেলা আর বঞ্চনার জন্য তারা পূনর্বাসনের জন্য সুযোগ পাচ্ছেনা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেদে সম্প্র্রদায় থাকলেও দিনে দিনে তাদের সংখ্যা কমছে। একটি সূত্র থেকে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলায় বেদে সম্প্রদায় থাকলেও ফেনী জেলায় বর্তমানে তাদের বসবাস সব থেকে বেশি। ফেনী সদর উপজেলার লালপুলে ৪০ পরিবার, রানীরহাটে ৩৫ পরিবার, দাগনভূঁইয়া উপজেলায় ২৫ পরিবার, ফুলগাজী উপজেলায় ২০ টি বেদে পরিবার এর বসবাস রয়েছে বলে জানা যায়।