যশোরের বেনাপোল কাগজপুকুর গ্রামে রেশমা(২৫) নামে এক হিজড়াকে খুন করে মাটি চাপা দেওয়ার পর মৃতদেহ উদ্ধার। সোমবার(১১ই মার্চ)বিকালে কাগজপুকুর প্রাইমারী স্কুলের ১০০ কাজ দূরে একটি সীমানা প্রাচীরের পাশে মাটিতে পোতা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ফারুক হোসেন নামে একজন কে আটক করেছে পুলিশ।আটক ফারুক হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের নুর ইসলাম এর ছেলে। সোমবার(১১ই মার্চ)বিকালে কাগজপুকুর প্রাইমারী স্কুলের ১০০ কাজ দূরে একটি সীমানা প্রাচীরের পাশে মাটিতে পোতা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। কাগজপুকুর গ্রামের আম বাগানের পশ্চিম পাশে জনৈক মৃত সিরাজুল ইসলামের লাউক্ষেতের মধ্যে গলায় চাকু দিয়ে জবাই করা হয় রেশমাকে। এরপর কবরস্থানের উল্লিখিত স্থানে পুঁতে রাখা হয়। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্রের হয়ে কাজ করতেন রেশমা হিজড়া। এসব মালামাল বেনাপোল থেকে যশোরে পাচার করতেন।
আজ সকালে স্থানীয় লোকজন স্কুলের অদূরে একটি আমবাগানের পাশে গেলে সেখানে কবর দেয়ার মতো দেখতে পায়। সাথে সাথে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দুপুরে গিয়ে গর্ত খুঁচে মাটি সরিয়ে তার মৃত্যু দেহ উদ্ধার করেন। সীমান্তের বিশেষ সূত্রগুলো জানিয়েছেন, রেশমা হিজড়া বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও বেনাপোল রেলস্টেশন ব্যবহার করে একটি চোরা কারবারী চক্রের মালামাল আনা নেওয়া করতেন। বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন ভক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বেনাপোল ও যশোর জেলা পুলিশের একটি টিমের সমন্বয়ে যৌথভাবে গর্ত খুঁছে মাটি সরিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তবে কে বা কারা কি কারনে এ হিজড়াকে খুন করেছে সে বিষয়ে এখনো কিছুই জানা যায়নি। পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনা স্থলে আছে। তারা অনুসন্ধান চালাচ্ছে।কারা কি কারনে তাকে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে এএসপি নাভারন সার্কেল নিশাদ আল নাহিয়ান বলেন কাগজপুকুর গ্রাম থেকে রেসমা নামে এক হিজড়ার লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং জড়িত থাকার অভিযোগে ফারুক হোসেন নামে একজন কে আটক করা হয়েছে।তিনি আরো জানান ঘটনার সাথে আরো ৫/৬ জন জড়িত তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।