১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • দেশজুড়ে
  • বেনাপোল বন্দরে ভারতের সাথে রেলের বাণিজ্যে বৃদ্ধি দ্রুত উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে রেল কতৃপক্ষ




বেনাপোল বন্দরে ভারতের সাথে রেলের বাণিজ্যে বৃদ্ধি দ্রুত উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে রেল কতৃপক্ষ

সোহাগ হোসেন, বেনাপোল,যশোর করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : জুন ২০ ২০২১, ২০:১০ | 712 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

বেনাপোল বন্দরের রেলপথে আমদানি বাণিজ্যের চাহিদা বাড়ায় অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে রেল বিভাগ। বেনাপোল রেল ষ্টেশন থেকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর পর্যন্ত রেল সড়কে চলছে সংস্কার ও ডাবল রেল লাইন স্থাপনের কাজ। রেলপথে আমদানির চাহিদা বাড়লেও বিট্রিশ আমলের সংকীর্ণ আর জরাজীর্ণ রেলপথে মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছিল বাণিজ্যক কার্যক্রম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রেলের অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি কন্টেইনার টার্মিনাল স্থাপন হলে ভারতের সাথে আমদানি বাণিজ্য যেমন বহুগুন বৃদ্ধিপাবে তেমনি বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ ঝুকি কুমবে।

জানা যায়, প্রতিবেশি দেশ ভারতের সাথে বাংলাদেশের ১২ টি বন্দর দিয়ে রেলও স্থলপথে আমদানি,রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে একমাত্র বেনাপোল বন্দর দিয়েই স্থল এবং রেলপথে আমদানি বাণিজ্যও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত হয়। ফলে এ বন্দরের গুরুত্ব অনান্য বন্দরের চাইতে বেশি। সড়ক পথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও ব্রিটিশ আমলে স্থাপন হয় এরেলপথ। দেশ ভাগের পর বন্ধ হয়ে যায় রেলের কার্যক্রম। পরবর্তীতে ২০০০ সালে পুরানো অবকাঠামোই আবার রেলে শুরু হয় আমদানি। তবে ফ্লাইঅ্যাশ আর জীবসাম জাতীয় পণ্য আমদানির মধ্যে সিমাবন্ধ ছিল বাণিজ্য। গত বছর করোনার শুরুতে সংক্রমণ রোধে ভারত সরকার স্থলপথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে তিন মাস আমদানি,রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রাখে। এতে ব্যবসায়ীরা মারাত্বক ভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়। সরকারও বিপুল পরিমানে বঞ্চিত হয় রাজস্ব। পরে ব্যবসায়ীদের দাবীর মুখে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানি শুরু হয়। কিন্তু ব্রিটিশ আমলের জরাজীর্ণ-সংকীর্ণ রেলপথে নানান প্রতিবন্ধকতায় চাহিদা মত পণ্য আমদানি বাণিজ্য ব্যহত হচ্ছিল। একটি কার্গো রেল বন্দরে প্রবেশ করলে জাইগার অভাবে আর একটি কার্গো রেল ভারত থেকে প্রবেশ করতে পারতোনা। বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীরা সরকারের বিভিন্ন মহলে চাপ প্রয়োগ করলে অবশেষে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে রেলের অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ শুরু হয়। আগামী তিন মাসে নির্মান কাজ শেষ হবে।

বন্দরবাসী শাহিনুর রহমান ও সোহাগ হোসেন জানান, ব্রিটিশ আমলের রেল লাইনে বাণিজ্যও যাত্রী পরিবহন অনেকটা ঝুকি ছিল। রেল সংস্কার হচ্ছে এতে এলাকাবাসী খুশি। তবে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপর দিয়ে যাওয়া রেলপথে নিরাপদ যাতায়াতে রেল ক্রসিং নির্মান দরকার।

বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, চট্রগাম বন্দরের পর বেনাপোল বন্দরের অবস্থান। কদিন পর পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে। বেনাপোলে বন্দরে রেল পথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কন্টেইনিয়ার টার্মিনাল চালু হলে ভারতের সাথে আমদানি,রফতানি বহুগুন বৃদ্ধিপাবে। এছাড়া যেহেতু রেলপথে সব ধরনের পন্য বহনের সুযোগ রয়েছে তাই করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে ব্যবসায়ীদের রেল পথে বেশি বেশি পণ্য পরিবহনের জন্য আহবান জানানো হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক(ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে রেলে বাণিজ্য যেমন অনেকটা নিরাপদ তেমনি সাশ্রয়ী। উন্নয়ন কাজ শেষ হলে রেলপথে রফতানি বাণিজ্যও চালুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, করোনার কারনে গত বছরে ব্যবসায়ীরা ভারতের পেট্রাপোলে কালিতলা ট্রাক পার্কিং সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মী হয়ে পড়েছিল। রেল পথে সব ধরনের পণ্যেও আমদানি শুরু হওয়ায় সে জিম্মী দশা ধেকে অনেকটা মুক্তি পেয়েছে। রেলে পরিধি বিস্তার হলে বাণিজ্য আরো প্রসার হবে।

যশোর রেল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী অলিউল হক জানান, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে বেনাপোল রেল ষ্টেশন থেকে শুরু করে পেট্রাপোল বন্দর পর্যন্ত দুই কিলোমিটার পর্যন্ত পুরানো ব্রডগেজ রেল লাইন সংস্কার ও বেনাপোল বন্দরের দুই পাশে পণ্যবাহী কার্গো রেল দাড়ানোর জন্য দুটি অতিরিক্ত রেল লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এসব উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হবে।

বেনাপোল রেল ষ্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, জরাজীর্ণ রেল পথে বাণিজ্য ব্যহত হওয়ায় সরকার সংস্কারের উদ্যেগ নিয়েছে। পর্যাপ্ত ইয়ার্ড না থাকায় একটি কার্গো রেল বন্দরে প্রবেশ করলে আর একটি ভারত থেকে ঢুকতে পারতো না। এতে সময় মত পণ্য পরিবহন ব্যহত হতো। উন্নয়ন কাজ শেষ হলে এপথে বাণিজ্য যেমন বাড়বে তেমনি রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে। যানবাহন চলাচল ও এলাকাবাসীর নিরাপত্তায় ঝুকি পূর্ণ স্থানে রেল ক্রসিংয়ের আবেদন জানানো হয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেণ, চলতি অর্থবছরের গত এক মাসে (মে) বেনাপোল বন্দরের রেলপথে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৪৩ হাজার ৭৬৮ মেঃটন বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এসময় আমদানি পণ্যের শুল্ককর বাদে শুধু রেলের ভাড়া বাবদই সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET