
নয়া আলো ডেস্কঃ- জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম জিয়া জেলে যাবার পর হতাশা জানিয়েছে বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা। অনেকের মতে, সাংগঠনিক ভাবে বিএনপি এতোটা দুর্বল, তা জানা ছিলো না। এত অসহায় আত্মসমর্পন অবিশ্বাস্য।
রায়ের পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মন্তব্য হলো, বেগম জিয়া তো জানতেন তিনি অ্যারেস্ট হবেন, তাহলে তাঁর দিক নির্দেশনা কি? বিএনপি কীভাবে চলবে?’
তিনি রায়ের খবর শোনেন তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসে। তাঁর সঙ্গে ছিল কয়েকজন চিকিৎসক। রায় হবার পর বেশ কিছুক্ষণ তিনি বিএনপির প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রিজভীর কান্না দেখে বিরক্ত ডা. জাফরুউল্লাহ তাঁর সহকর্মী ডাক্তারকে বলেন, ‘ব্যাটা কাঁদে কেন? ব্যাটা কি রাজনীতি করতে এসেছে না যাত্রাপালা?’ তিনি বলেন, ‘জানো বিএনপির জন্য করুণা হয়। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দাবায় জিতেছেন।
বিএনপির থিংক ট্যাংক খ্যাত শফিক রেহমানের মতে, ‘একটা প্রতিবাদ করার শক্তিও দলটির নেই দলটির। এই দলটা ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল? শফিক রেহমান রায় শুনেছেন তার বেইলী রোডের বাসায়। তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁর কয়েকজন সহকারী। রায়ের পর তিনি বলেন, এই ঘটনায় বিএনপি একটি মূল্যহীন রাজনৈতিক দলে পরিণত হলো।
আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহামুদুর রহমান। তিনি রায় শুনেছেন এক আত্মীয়র বাসায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক আবদাল আহমেদ।
বেগম জিয়াকে যখন জেলে নিয়ে যাচ্ছিল তখন বিএনপির কোনো প্রতিবাদ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন, বেগম জিয়ার সাবেক জ্বালানী উপদেষ্টা। তিনি সহকর্মী সংবাদ কর্মীকে বলেন, ‘বিএনপি কি এতই অক্ষম এবং দেউলিয়া হয়ে গেলো। তিনি বলেন,‘জামায়াতও তো তাঁদের নেতার রায়ের পর এর চেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। তিনি আবদালকে বলেন, আমি নিজেই লজ্জা পাচ্ছি।