ব্রাক্ষনবাড়িয়া প্রতিনিধি-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ও গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ধানী জমির ফসল। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। কিভাবে আগামী দিনে খাদ্য ঘাড়তি পুষিয়ে নিবে তা নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। দ্রুত ধান কেটে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। ক্ষয় ক্ষতি নিরুপনে যাছায় বাচায় করছে প্রশাসন।ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার কসবা, আখাউড়া, বিজয়নগর, সরাইল ও সদর উপজেলা সহ বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে দিশেহারা হয়ে পরেছে কৃষকরা। অনেকে আবার কাঁচা ধান পানি থেকে কেটে আনছে। কিভাবে আর্থিক ক্ষতি পুশিয়ে নিবে এ নিয়ে এখন দুচিন্তায় কৃষকরা। শেষ সময়ে এসে জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আগামী দিনে কি ভাবে খাদ্য চাহিদা পুরণ করবে এই নিয়ে বিপাকে পরেছে।
কৃষকরা জানান, তাদের সবটুকু জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ১০০ ভাগের মধ্যে ৮০ভাগ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধান কাটায় নিয়োজিত শ্রামিকরা জানান, পানিতে নেমে ধান কাটতে গিয়ে তারা নানা পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের হিসেবে জেলায় দেড় হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা কৃষকদের দ্রুত পাকা ধান কেটে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
তবে বেসরকারি হিসেব মতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর জমি। কি পরিমান আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নির্ধারন করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে জেলা প্রশাসক জানান, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের তালিকা প্রনয়ন করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককে সহযোগিতা করার জন সরকারকে জানিয়েছি।ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সরকার দ্রুত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবে এমনটায় প্রত্যাশা সকলের।