
রানা বণিক, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)” প্রতিনিধি – নবীনগর বড়াইল ইউনিয়ন খারঘর গ্রামের মুক্তিবাহিনীর সাথে হানাদার পাক বাহিনীর এক অসম যুদ্ধের পর বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গ্রামটি ঘেরাও করে নিরীহ ও নিরস্ত্র গ্রামবাসীর উপর বর্বর ও নৃসংশ হামলা চালিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। মারাত্নক ভাবে আহত করে শিশুসহ শতাধিক নারী ও পুরুষ।যুদ্ধরত অবস্থায় পাকবাহিনরি কাছে বন্দী হন দুইজন সশস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধের শুরম্ন থেকে হানাদার কবলিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিবাহিনীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে চিহ্নিত এই গ্রামটিতে প্রতিহিংসা পরায়ন পাকিস্তাদানী সৈন্যরা নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, অগি্নসংযোগ ও লুট তরাজ করে ধংসস্তুপে পরিণত করে।গতকাল ১০ই অক্টোবর সকাল ১০টার সময় মহান মুক্তিযোদ্ধের হৃদয় বিদারক অর্ধশতাধিক বীর শহিদানের স্মৃতি বিজরিত এই ঐতিহাসিক দিবসটি উৎযাপন করেছে খারঘর সংরক্ষণ ও বাস্তাবায়ন কমিটি। সকল শহীদের প্রতি প্রশাষনের পক্ষ থেকে কয়েক ধাপে পুষ্পঅর্পন করা হয়।পরে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষাবিষয় সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান (নান্নু মাস্টার) এর উপস্থাপনায় ও বড়াইল ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন এর সভাপতিত্তে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাক্ষণবাড়ীয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক সাংসদ বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহ্ জিকরুল আহমেদ খোকন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুল ইসলাম,নবীনগর থানার (ওসি)ইমতিয়াজ আহমেদ,জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন,জেলা ছাএলীগের সহ-সভাপতি মিনহাজ মামুন নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আবু কাউছার, উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল আলম শাহন,উপজেলা জাসদের সভাপতি দুলাল মিয়া,খারঘর সংরক্ষণ ও বাস্তাবায়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দীন আহমেদ জীবন,উপজেলা ছাএলীগের সহ-সভাপতি এম,নাঈমুর রহমান,যুদ্ধাহত আলী আজগর, বড়াইল ইউপি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম,তাজুল ইসলাম মেম্বার,অপু আহমেদসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ এবং শহিদ ও যুদ্ধাহত পরিবারের সদস্যরা এতে উপস্থিত ছিলেন।