- আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
- পৃথিবী দিনে দিনে উঠে যাচ্ছে উন্নতির চরম শিখরে। ভারতের ঝড়খন্ড প্রদেশ যেনো হাঁটছে ঠিক বিপরীত পথে। তারা দিনে দিনে তলিয়ে যাচ্ছে গভীর থেকে গভীরতর অন্ধকারে। ঝড়খন্ডের এমন অন্ধকার পুরো ভারতকেই লজ্জায় শেষ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। সম্প্রতি সেখানে তিনজন বিধবা নারীকে ‘ডাইনি’ বলে আখ্যায়িত করে তাদেকরে পুড়িয়ে মেরেছে গ্রামবাসী!
এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটিয়েছে শত শত মানুষ। শিক্ষার আলো বা মানবিকতার সামান্য আলোও যেনো পৌঁছেনি তাদের কাছে। রোববার রাতের ঘটনায় এর মধ্যেই পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে দশজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
যে বাড়িটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সে বাড়ির মালিক গোবোর্ধন ভগত। ১৫ বছর আগে একটি শিশু ছেলের মাথা কেটে ফেলার অভিযোগ ছিলো তার উপর। ওই অভিযোগে জেলও খাটতে হয়েছে তাকে। তার পরিবারের একাধিক ছেলে সন্তান পুলিশ ও বিএসফে কাজ করেন। ফলে তার পরিবারের আয়রোজগার ভালোই ছিলো।
কিন্তু গ্রামবাসী ভাবতে শুরু করে ‘ডাইনিবদ্যা’ জানার কারণেই ধন-সম্পদ বাড়ছে ভগতদের এবং তার বাড়িতে নিশ্চয় অনেক শিশুকে ধরে রাখা হয়েছে, তাদের মাথা কাটা হবে বলে। এমন বায়বীয় ধারণার বসেই রোববার রাতে গোবোর্ধন ভগতের বাড়িতে হামলা চালায় গ্রামবাসী।
প্রথমে শ্লোগান দেয়া হয় শিশুদের ছেড়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু আসলে সেখানে কোনো শিশু ছিলোই না। এরপরই ওই বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। সে সময় বাড়িতে মোট সাতজন ব্যক্তি ছিলেন। চারজনকে কোনোমতে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু তিনজন বিধবা পুড়ে মারা যান। ঝড়খন্ডের স্থানীয় পুলিশ সংবাদ মাধ্যমকে এ সব তথ্য জানিয়েছেন।
ঝড়খন্ডে ডাইনি ভেবে বিধবা নারীদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি-মূলক নানা কর্মকাণ্ডও বিভিন্ন সময় গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের ঘটনা কিছুই বন্ধ করা যাচ্ছে না।