
ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে যৌতুকের দায়ে স্ত্রীর উপর বার বার নির্যাতন চালাচ্ছে পাষন্ড স্বামী। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোঃ ছিদ্দিক বেপারীর ছেলে মোঃ হারুনের সাথে প্রায় ২০ বছর পূর্বে ভোলা পৌরসভার পৌর কাঠালী ৮নং ওয়ার্ডের মৃত খোরশেদ আলমের মেয়ে খালেদা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পরথেকেই যৌতুক লোভী স্বামী হারুন যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী খালেদার উপর বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে। বিগত দিনে স্ত্রী খালেদা সংসার ও সন্তানদের কথা চিন্তা করে বাবার বাড়ী থেকে কয়েক দফায় প্রায় ৫লাখ টাকা যৌতুক প্রদান করে। এতেও আজপর্যন্ত স্ত্রীর উপর নির্যাতন বন্ধ করেনি পরবিত্তলোভী স্বামী হারুন। বর্তমানে আরো নগদ ২লাখ টাকা ও স্ত্রীর বাবার বাড়ীর সম্পত্তি বিক্রি করে নগদ টাকা এনে দেয়ার জন্য চাঁপ প্রয়োগ করছে হারুন। এ ব্যাপারে স্ত্রী খালেদা এলাকার গন্যমান্য ও হারুনের বাবা ও বড় ভাইদের বার বার জানানো সত্যেও এ পর্যন্ত কোন প্রকার সুফল মেলেনি তার ভাগ্যে। খালেদা নিজে বাঁচার জন্য কয়েকবারই বাবার বাড়ী চলে আসে। সেখানথেকে তার ভাইরা প্রতিবারই বুুঝিয়ে-সুজিয়ে স্বামীর সংসারে দিয়ে আসে তাকে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানাগেছে, হারুন তার বড় ভাইর স্ত্রীর সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে স্ত্রী খালেদা বাঁধা দিতে গেলে বেশ কয়েকবারই মার খেতে হয়েছে স্বামীর হাতে। বর্তমানে হারুন তার পরকীয়া প্রেমিকাকে আপন করে পাওয়ার জন্য খালেদাকে তালাকসহ হত্যা ও গুম করার হুমকী দিচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্যাতিতা আসহায় নারী খালেদা বেগম।