
ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে যৌতুকের দায়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের পর ৩বছরের শিশু সন্তানসহ একতরফা তালাক প্রদান করেছে পাষন্ড স্বামী। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ৮বছর পূর্বে শিবপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মৃত মোঃ ছাদেকের মেয়ে আরজু বেগমের সাথে বিয়ে হয়ে শিবপুর ৫নং ওয়ার্ডের ছায়েব আলীর ছেলে লাল মিয়ার সাথে। বিয়ের শুরুতে পরবিত্ত লোভি স্বামী লালমিয়া ১লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে থাকলেও তার সংসারে এক মুহুর্তের জন্য শান্তি দেয়নি হতভাগী স্ত্রী আরজুকে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লালমিয়া প্রায় সময়ই আরজুর উপর চালত অমানুষিক নির্যাতন। মেয়ের সুখের জন্য আরজুর বাবা মা আরজুর গার্মেন্সে কাজ করে জমানো ও জমি বিক্রি করা আরো ৪লাখ টাকা গত ৮বছরে লালমিয়াকে যৌতুক হিসেবে প্রদান করে। এর পরও যৌতুক লোভী অকর্মা স্বামী লাল মিয়া পরের টাকার নেশা কাটাতে পারেনি তার চরিত্র থেকে। সে জুয়া ও বিভিন্ন নেশা করে সকল টাকা উড়িয়ে এক সময় দেউলিয়া হয়ে যায়। গত ১৩ মার্চ ২০১৭ইং তারিখে ফের লাল মিয়া আরজুর কাছে ১লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। আরজু বার বার এ অন্যায় আবদারের প্রতিবাদ জানালে, লালমিয়া আরজুর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দ্বারা তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। এর পর স্থানীয়রা আজুকে আচেতন অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আরজু আদালতে একটি মামলা দায়ের করে মামলা নং-২৩৪/১৭। অন্যদিকে চতুর লালমিয়া ভোলার একটি কাজি অফিসের কাজিকে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে মামলা দেয়ার তারিখের পূর্বে তারিখ দেখিয়ে আরজুর নামে একটি তালাকনামা প্রদান করে। তার মানে, চতুর লালমিয়া দেখাতে চাচ্ছে, নির্যাতনের ঘটনার অনেক আগেই সে আরজুকে তালাক প্রদান করেছে। বর্তমানে অরজু অর্থের অভাবে তার দেয়া মামলাটির তদবীর না করতে পারায়, অসামী লালমিয়া পুলিশের নাকের ডগায় বীর দর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অন্যদিকে আরজু তার ৩ বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে সু-বিচারের দাবীতে প্রশাসনের দ্বারে-দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। এলাকা ঘুড়ে আরো জানাগেছে, লালমিয়া এর আগেও ২টি বিয়ে করেছিল, প্রথম স্ত্রীকে সে নিজে হত্যা করে। যার মামলা চলমান রয়েছে। ২য় স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন, হতভাগী আরজু বেগম।