
ভোলা প্রতিনিধি॥
ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে পাষন্ড স্বামীর হাতে বার বার নির্যাতিত হচ্ছে এক অসহায় নারী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার মালেক বেপারীর ছেলে স্বপন বেপারীর সাথে প্রায় ১৬ বছর পূর্বে আলীনগর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৃত মোতাহার হোসেনের মেয়ে রেখা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পরবিত্তলোভী স্বামী স্বপন যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী রেখার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে। রেখা তার সন্তানদের কথা চিন্তা করে মুখ বুঝে স্বামীর সকল অত্যাচার সহ্য করলেও আজ পর্যন্ত বন্ধ হয়নি পাষন্ড স্বামীর নির্যাতন। ইতমধ্যে রেখা নিজের পায়ে দাড়ানোর জন্য বাবার বাড়ী থেকে জমি বিক্রি করে সাড়ে ৮লাখ টাকা এনে স্বামীর এলাকায় ৩২শতাংশ জমি ক্রয় করে। কিছুদিন পূর্বে স্বপন তার এলাকার নাসিমা নামে এক নারীর সাথে পরকীয়া প্রেমে আবদ্ধ হয়। এর পর থেকে স্বপন রেখার জমি ও নাসিমাকে আপন করে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন সড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকে। শত নির্যাতনের পর ও রেখা স্বামীর ঘর না ছাড়াতে স্বপন একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেখাকে একতরফা তালাক প্রদান করে এবং স্বপন রেখার ছোট ছোট ৩টি বাচ্চা রেখে দিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর রেখা তার সন্তানদের আনতে স্বপনের বাড়ী গেলে স্বপন তালাকের গত ৪ মাসে রেখাকে ৩বার পিটিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য করে। জানাগেছে স্বপন রেখাকে হত্যা ও গুম কারার জন্য কয়েকবার প্রস্তুতি নেয় তাছাড়া সে রেখার নামে বিভিন্ন গণ মাধ্যমে দূর্নাম ছড়াতে থাকে। এর পর অসহায় রেখা তার ওই এলাকায় ক্রয় করা জমিতে উঠানো ঘরে না খেয়ে না দেয়ে আসহায় ভাবে দিন কাটাতে থকে। কিন্তু এ বিষয়টিকেও মেনে নিতে পারেনি নিষ্ঠুর স্বামী স্বপন। সে রেখার ক্রয় করা পুরো জমিটির কাগজপত্র জালজালিয়াতি করে লুফে নেয়ার জন্য বিভিন্ন পায়তাড়ায় লিপ্ত থাকে। গত ২৫ মে দুপুরে স্বপন ওই এলাকার একটি সন্ত্রাসী দলকে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে রেখার ক্রয় করা পুুকুরের মাছ লুট করে নেয়ার জন্য জাল ফেলে। এসময় সন্ত্রাসীরা পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতীর ৫ ব্রেল মাছ লুট করে নেয়। এসময় রেখা বাঁধা দিতে গেলে স্বপন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে লাঠি দ্বারা পিটিয়ে ডান পা ভেঙ্গে ফেলে। তাছাড়া স্বপনের আঘাতে রেখার শরীরের বিভিন্ন যায়গা ফুলা যখম হয়। পরে স্থানীয়রা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে রেখা ভোলা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধিন রয়েছে। এমতাবস্থায় অসহায় রেখা তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।