
মংলায় ধর্ষনে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া অসহায় কিশোরী (১৩)কে বিয়ে করতে বাধ্য হল ধর্ষক মোল্লা হাবিবুর রহমান (৬৫)। সে গত ৮ মাস যাবত ওই কিশোরীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষন করে আসছিল। ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় কাউন্সিলর, মানবাধিকার কর্মী এবং পুলিশের সহায়তায় মংলার মানবাধিকার সংস্থার অফিসে সকলের উপস্থিতিতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ধর্ষক হাবিব পৌরসভার মাদ্রাসা রোডস্থ আজাহার মোল্লার ছেলে। সে মংলায় একটি শিপিং এজেন্সি অফিসের ম্যানেজার।
জানা গেছে, ক্ষুধার তাড়নায় সাতক্ষীরা থেকে মংলা এসে চাচা মুনসুর গাজীর বাড়িতে ওঠে এই কিশোরী। কিশোরীর চাচি মংলার একটি প্রতিষ্ঠিত শিপিং এজেন্সি অফিসে তাকে বুয়ার কাজ পাইয়ে দেয়। ওই অফিসে কাজ করা কালীন কিশোরীর উপর কুনজর পড়ে অফিসের ম্যানেজার লম্পট হাবিব মোল্লার। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষন করে এক পর্যায় সে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। হাবিবকে বিয়ের কথা বললে সে হুমকি-ধামকি সহ নানান তালবাহানা করতে থাকে। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে দুশচরিত্রা বলে এলাকা থেকে বের করে দেয়ারও চেষ্টা করা হয়।
মানবাধিকারকর্মী সুমি লীলা জানান, ওই কিশোরীর চাচি সাহিদা বেগমের সহায়তায় শিপিং অফিসে কাজ করা কালীন অফিস ম্যানেজার হাবিব মোল্লা দিনের পর দিন কিশোরীকে ধর্ষণ করে। বর্তমানে সে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনা জানাজানির পর মানবাধিকারকর্মী স্থানীয় প্রশাসন এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে হাবিব মোল্লা কে বিষয়টি জানাইলে, সে সবকিছু অস্বীকার করে, এবং কিশোরীকে মংলা ছেড়ে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে চাপের মুখে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে করতে বাধ্য হয়, এবং ওই কিশোরীর অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের কথা সে নিজ মুখে স্বীকার করে।
Please follow and like us: