সিদ্ধিরগঞ্জস্থ ৯টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের যৌথ সভাতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় পলিট ব্যুরোর অন্যতম সদস্য জননেতা কমরেড আবু হাসান টিপু তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ন্যূনতম মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার দাবি করে বলেছেন, গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। অথচ এই শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি দারিদ্রসীমার আয়ের নিচে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনো শ্রমিকের মজুরিই দারিদ্রসীমার নিচে হতে পারে না।
আবু হাসান টিপু বলেন, যদি ফিলিপাইনে প্রতি ঘণ্টায় শ্রমিকদের বেতন ১ ইউএস ডলার দিতে পারে অর্থাৎ বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮০ টাকা, আর তৈরি পোশাক শিল্পে বিশ্বের প্রথম দেশ চায়না তাদের শ্রমিকদের প্রতি ঘণ্টায় মজুরী দিতে পারে ০.৯৩ ইউএস ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ৭৪ টাকা ৪০ পয়সা, সেখানে বাংলাদেশের মালিকরা কেন ০.৫২ ডলার অর্থাত বাংলাদেশি টাকায় ঘন্টায় ৪১ টাকা ৬৭পয়সা দিতে পারবেনা?
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রমবিধি ২০১৫-তে সুনির্দিষ্টভাবে মজুরি বোর্ডে এই সেক্টরের শ্রমিক প্রতিনিধিকে প্রতিনিধিত্ব করার আইন থাকলেও ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত মজুরি বোর্ডে ২০১০ সালের মতো কোন শ্রমিক প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয় নাই। ফলে বরাবরের মতো এবারও একতরফা ভাবে মালিক পক্ষের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সরকার যে মরিয়া হয়ে উঠেছে সে আশংকাকে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছেনা।
বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির অন্যতম সংগঠক মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ২নং হাজীগঞ্জস্থ পার্টির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভাতে আবু হাসান টিপু এসব কথা বলেন।
পোশাক শ্রমিকদের ওপর দমনপীড়ন বন্ধ, এবং শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, বিপ্লবী গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি শ্রমিকনেতা হাবিবুর রহমান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় প্রচার বিষয়ক সম্পাদক আইউব আলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রোকসানা বেগম প্রমূখ