
মতলবে অপহরণের ২৪ঘন্টা পর অপহৃত ব্যবসায়ী উদ্ধার
৩ অপহরণকারী আটক
মনিরুল ইসলাম মনির, মতলব (চাঁদপুর) থেকে :
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে অপহরণের ২৪ ঘন্টা পর অপহৃত ব্যবসায়ী উদ্ধার ও ৩ অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ সাড়াশী অভিযান চালিয়ে।
নারায়ণগঞ্জের কালীবাজারের স্যানেটারী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম (৩৫) বকেয়া টাকা আদায়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দশানী বাজার থেকে নিজ বাড়ী বদরপুর যাওয়ার পথে কলাকান্দা বহুমূখী বাজার (বউবাজার) আসলে পূর্বপরিচিত কাজী কামরুলের নেতৃত্বে ৯ মোটর সাইকেল আরোহী তার গতিরোধ করে অপহরণ করে ১৯ মে রাত সাড়ে ৮টায়। অপহৃত রফিক পাঠানকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে মারধর করে ৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। রফিক প্রাণে বাঁচতে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ৪৮হাজার টাকা দেয়। অপহৃত রফিকুল ইসলাম মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমান পাঠানের ছেলে।
ওই রাতেই মতলব উত্তর থানাকে বিষয়টি জানালে ওসি আলমগীর হোসেন মজুমদারের নেতৃত্বে সাড়াশী অভিযানে নামে। পুলিশ ২০ মে রাত ৮টার দিকে ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের মোতালেব মোল্লার বাড়ি থেকে অপহৃত রফিক পাঠানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় অপহরণকারী দলের ৩ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- মোহনপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সুমন (২৮), কলাকান্দা গ্রামের মৃত আবদুর রব কাজীর ছেলে কাজী কামরুল (৪২) ও ফরাজীকান্দি শাখারীপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কালাম আজাদের ছেলে কামরুল দেওয়ান (৪৮)।
পুলিশ জানায়, সুমনকে আটকের সময় তার কাছ থেকে ৪০ পিচ ইয়াবা পাওয়া যায়। অপহরকারীদের ব্যবহৃত ২টি মোটর সাইকেল আটক করা হয়।
অপহৃত রফিক পাঠান জানায় তিনি সৌদি আরবে থাকাকালীন কাজী কামরুলে এক বন্ধুর সাথে পরিচিত হয়েছিল। এ সুবাদে কাজী কামরুলের সাথে রফিক পাঠানের পরিচয় হযেছিল।
অপহরণকারীদের আটকের সময় অপহৃত রফিক পাঠানের ছেলেকে সুমন মোটর সাইকেলে করে পালানোর চেষ্টা করে। পরে মহিলা পুলিশ সদস্যরা তাকে ঝাপরে ধরে আটক করে।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, অপহরণকারীরা ইয়াবা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িতে। আটককৃত ৩জনই মাদক ব্যবসা ও সেবনকারী। অপহরণের সাথে জড়িত বাকী সদস্যরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে। আটককৃতদের মোবাইল সূত্রে আমরা মাদকের ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা পেয়েছি। অপহরণকারীদের আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।