মনিরুল ইসলাম মনির ॥
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার, মুখে নয় এ সরকার তা কাজে প্রমাণ করেছে। তাই কৃষকদের ভাগ্যোন্নয়নে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগে গ্রহণ করেছে। বিএনপি সরকারের আমলে (১৯৯১-৯৬ সাল) সারের দাবিতে আন্দোলন করায় জন্যা ১৮ জন কৃষককে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছিল। অথচ আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের সারের জন্য সিরিয়াল দিতে হয় না, সারই কৃষকদের পেছনে দৌড়াচ্ছে। এই কৃষকরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে সোনার বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
বাঁচলো কৃষক বাঁচলো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শনিবার বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ মায়া বীরবিক্রম মিলনায়তনে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন- চাঁদপুর জেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন প্রধান। অনুষ্ঠানে কৃষকলীগ নেতা আলহাজ্ব অখিল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কৃষকলীগ নেতা জিএম ফারুকের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন- চাঁদপুর জেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন প্রধান।
ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে এই ধারাবাহিকতা অব্যহিত রেখে বাংলাদেশ কৃষকলীগ এগিয়ে যাচ্ছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলাদেশের স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ১৯ এপ্রিল এদেশের খেটে খাওয়া কৃষক মুজুরীদের জন্য বাংলাদেশ কৃষকলীগ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তার কন্যা দেশ রতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য এসেছে ও দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় জাতিসংঘের পুরস্কার লাভ করেছে।
মন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স¦প্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগ সরকার নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। সার, বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্য হ্রাস করা হয়েছে। কৃষককে সহজশর্তে ও স¦ল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগসহ কৃষকদের নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী মায়া চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কেবল বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি বর্হিবিশ্বেও নেতৃত্বদানকারী নেতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃৃত্বে সকল ক্ষেত্রে দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। নানামুখী সাফল্যে বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় দিন বদলের মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার সুনিপুণ কারিগর। তিনিই বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম রিয়াজ উদ্দিন মানিক, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, আওয়ামীলীগ নেতা আনিসুল হক, ছেংগারচর পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির, সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সরকার ইমন, একলাছপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোসাদ্দেক হোসেন মুরাদ, ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান মো, আবুল খায়ের, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডাবলু, সদস্য সচিব এ্যাড. আক্তারুজ্জামান, ছেংগারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রহমত উল্লাহ সরকার লিখন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য মিনহাজ উদ্দিন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ’সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলহাজ্ব অখিল উদ্দিনকে সভাপতি ও জিএম ফারুককে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আগামী ৩ বছরের জন্য কমিটি ঘোষনা করেন।