
ফারুক আল শারাহ:- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার আশিরপাড় বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিতাই দেবনাথ গত ৬দিন ধরে নিখোঁজ। এ বিষয়ে লাকসাম থানায় জিডি করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সন্ধান নিশ্চিতে সন্ধানদাতাকে ৫ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা করেছেন মনোহরগঞ্জের আলোচিত প্রবাসী মোঃ মিজানুর রহমান সুমন।
জিডি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়- গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিতাই দেবনাথ লাকসাম পৌর শহরের ভাড়া বাসা থেকে মনোহরগঞ্জের আশিরপাড় বাজারে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা বের হন। গভীর রাতেও তিনি বাসায় না ফেরায় তার স্ত্রী মোবাইলে ফোন করে ফোন বন্ধ পান। সকাল পর্যন্ত সকল আত্মীয়-স্বজনের বাসায় খোঁজ খবর নিয়েও সন্ধান পাননি। এতে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর পরিবারে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বেড়ে যায়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিতাই দেবনাথ নিখোঁজের ঘটনায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে তার বড় ভাই গৌরাঙ্গ দেবনাথ লাকসাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন। নিতাই দেবনাথ জেলার দেবিদ্বার উপজেলার সাইতলা গ্রামের নারায়ন দেবনাথের ছেলে। তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রায় ৩০ বছর ধরে লাকসাম পৌর শহরের সোহাগ মৎস খামারের ভিতরে কাজী আবদুর রশিদের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছেন।
নিখোঁজ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বড় ভাই গৌরাঙ্গ দেবনাথ বলেন- প্রতিদিনের ন্যায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে লাকসামের বাসা থেকে নিজের দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় নিতাই। ওইদিন সন্ধ্যায় ফোন দিয়ে দেখি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে দোকানেও যায়নি। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ রয়েছে। আমরা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে লাকসাম থানায় জিডি করেছি। ৬দিনেও তার ভাইয়ের সন্ধান নিশ্চিত না হওয়ায় স্বজনদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বাড়ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, নিখোঁজ ব্যবসায়ী নিতাই দেবনাথ স্থানীয় যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি মনোহরগঞ্জের আলোচিত প্রবাসী মোঃ মিজানুর রহমান সুমন এর একনিষ্ঠ কর্মী। নেতার প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা থেকে ওই ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা ‘হৃদয়ে সুমন ভাই’ নামে নিজের ফেসবুক আইডি খুলেন। ওই আইডিতে তিনি প্রবাসী মিজানুর রহমান সুমনকে নিয়ে প্রায়ই স্ট্যাটাস দিতেন। কর্মীর এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত ওই প্রবাসী। সেই ভালোবাসা থেকেই প্রবাসী মিজানুর রহমান সুমন নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সন্ধানের জোর দাবি জানান। নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সন্ধান নিশ্চিত করতে পারলে সন্ধানদাতাকে ৫ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়ে ওই প্রবাসী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
লাকসাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.আশরাফুল ইসলাম বলেন- স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিখোজের ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।