রাজশাহী মহানগরীতে বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইদুজ্জামানের উপস্থিতিতে গৃহবধূকে ইভটিজিং করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মহানগরীর রামচন্দ্রপুর কেদুরমোড়ের আনোয়ারুলের চায়ের দোকানে তার পুত্রবধুকে জয় ও আলিফ নামের দুইজন বখাটে বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইদুজ্জামানের উপস্থতিতে ইভটিজিং করে। এ ঘটনায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) মোঃ আনোয়ারুল বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত জয় (২০) রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন কেদুরমোড় এলাকার মোঃ বাবু’র ছেলে এবং আলিফ (২২) একই এলাকার মোঃ জয়নালের ছেলে।
বাদী আনোয়ারুল বলেন, অভিযুক্তরা তার বড় ছেলে রাজনের স্ত্রীকে তার চায়ের দোকানে বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইদুজ্জামান উপস্থিতে ইভটিজিং করে। তবে এসআই সাইদুজ্জামানের কাছে সহযোগিতা চেয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি। একপর্যায়ে আনোয়ারুলের দুই ছেলে রাজন ও সজল ঘটনাস্থলে আসলে তাদের সাথে জয় ও আলিফের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে জয় ও আলিফের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটা সশস্ত্র দল এসআই সাইদুজ্জামানের উপস্থিতিতেই চা দোকানী মোঃ আনোয়ারুল ও তার ছেলেদের উপর চড়াও হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে আহত করে। এরপর স্থানীয়রা তাদের প্রথমে বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর আনোয়ারুল ও তার পুত্রবধূ বাদি হয়ে জয় ও আলিফকে বিবাদী করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আলিফ একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাই মামলা রয়েছে। কিন্তু আলিফ বোসপাড়া ফাাড়ির ইনচার্জ এসআই সাইদুজ্জামানের সোর্স হিসেবে কাজ করে ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি। থানায় অভিযোগের পর ইনচার্জ সাইদুজ্জামানের সহযোগিতায় একইদিন রাতে তার বড় ছেলে রাজনকে একটি পুরনো পেন্ডিং মামলায় র্যাব দিয়ে আটক করে চালান দেওয়া হয়।
বাদী আনোয়ারুলের করা অভিযোগের এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় নি। শুধু তাই নয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বোয়ালিয়া থানায় গেলেও এসআই সাইদুজ্জামান থানায় প্রভাব খাটিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই সাইদুজ্জামান সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ুন কবির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Please follow and like us: