
মেহেদী হাসান, খুলনা থেকেঃ- খুলনা জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নার্গিস ফাতেমা জামিন মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে বলেন, ২৬ মার্চ, আজ ২৬ মার্চ, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। মহান স্বাধীনতা দিবসের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানাই অগনিত সালাম। শ্রদ্ধাভরে স্মরণকরি ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনকে।
এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্যদিয়ে বাংলার আপামর জনতা পশ্চিম পাকিসত্মানী জামত্মার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস রক্তয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন করে। পৃথিবীর বুকে এত অল্প সময়ে বাঙালি জাতিই একমাত্র স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই। এজন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
তিনি বলেন, অনেক স্মৃতিগাঁথা আমাদের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিসত্মানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতার হবার একটু আগে ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যা চট্রগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ই.পি.আর এর ট্রান্সমিটারে করে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়। ‘‘সেই ঘোষণাটিতে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন-এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহবান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যমত্ম প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিসত্মানি সৈন্যটিকে উৎখাত করা এবং চুড়ামত্ম বিজয় অর্জন পর্যমত্ম আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক’’।
নার্গিস ফাতেমা জামিন আরও বলেন, সময় এসেছে বাংলাদেশকে পূর্ণাঙ্গভাবে শক্রমুক্ত করার। জাতির পিতার অমর কবিতা ৭ই মার্চের ভাষণ প্রতিক্ষনে আমাদের অনুপ্রেরণা, সাহস এবং শক্তির উৎস। আজ আমাদের শপথ নিতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাসত্মবায়নের মধ্যদিয়ে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার। আসুন ৭১’র ন্যায় আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজ্ঞাননির্ভর ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করি এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলাসহ ৭১’র পরাজিত শক্তি ও জঙ্গিবাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করি।