১০ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ২৭শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • অপরাধ দূনীর্তি
  • মহেশপুরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুঃ ডাক্তার নার্স ছাড়াই চলছে রমরমা ব্যবসা




মহেশপুরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুঃ ডাক্তার নার্স ছাড়াই চলছে রমরমা ব্যবসা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : এপ্রিল ১৫ ২০১৮, ১৯:৪৯ | 706 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

শামীম খান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের মহেশপুরের মনোয়ারা পাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্তৃপক্ষের অবহেল প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে কোনো ডাক্তার বা নার্স ছাড়াই চলছে এ ক্লিনিকের রমরমা ব্যবসা।জানা যায়, ১৩ ই এপ্রিল রাত্রে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জিন্নানগর বাজারে অবস্থিত মনোয়ারা পাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেহেনা (৩৫) বেগম নামের এক প্রসুতি মায়ের করুন মৃত্যু হয়েছে। রেহেনা বেগম উপজেলার কাজীরবেড় ইউপির পলিয়ানপুর গ্রামের জামাত মন্ডলের ছেলে মহর আলীর স্ত্রী। জানা গেছে গত ১৩ ই সকালে রেহেনার সিজারের জন্য জিন্নানগর বাজারে অবস্থিত মনোয়ারা প্রাইভেট এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারে তার স্বামী মহর আলী ভর্তি করে এবং দুপুরে সোহেল রানা নামের এক ভাড়াটিয়া ডাক্তার দিয়ে সিজার করলে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় রেহেনা পরবর্তীতে  শারিরীক জালা যন্ত্রনা বেড়ে যায় এসময় ক্লিনিকে রেখে ঐ ভাড়াটিয়া ডাক্তার দ্বারা বিভিন্ন রকমের চিকিৎসা চালাতে থাকে। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে ঘুমের ইনজেকশন পুষ করে ক্লিনিক থেকে সন্ধায় গোপনে যশোর নেওয়ার পথের মধ্যে রেহেনা মারা যায়। মূলত ডাক্তারের ভুল অপারেশন ও ক্লিনিকের অব্যবস্থাপনায় প্রসুতি মায়ের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।প্রসূতির মৃত্যরু পর ঐপরিবারের লোকজনের সাথে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ব্যাপক গোলযোগ সৃষ্টি হয়। এক পর্যায় আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে গোপনে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরিবারের সাথে সমঝোতা করে। এভাবে গত এক বছরে এই ক্লিনিকে শিশু সহ ৪ টি মানুষ মারা গেলেও ক্লিনিক মালিকের কোন কিছুই হয়নি। টাকার জোরে সব কিছু ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তার ক্লিনিক ব্যবসা। বিষয়টি নিয়ে ক্লিনিক পরিচালক জুলফিক্কারের সাথে কথা বললে, তিনি জানান, রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি না বাঁচলে আমি কি করবো যা হবার তাই হবে। তিনি আরো বলেন সাতারের উপর কোন পানি নেই সিভিল সার্জন অফিস ঠিক থাকলে সব ঠিক,আপনারা যতই লেখেন কিছুই হবে না।উল্লেখ্য, বর্তমানে মহেশপুরের প্রায় সকল ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে কোনো হাইড্রোলিক টেবিল নেই, সার্বক্ষণিক ডাক্তার নেই, ডিপ্লোমা কোনো নার্স নেই, ইমার্জেন্সি লাইট নেই, অজ্ঞান করার জন্য কোনো এ্যনেসথেশিয়া মেশিন নেই, রক্ত বন্ধ করার জন্য ডায়াথামি মেশিন নেই। গত বছর অপ-চিকিৎসার কারণে উপজেলার ভৈরবা জননী ক্লিনিকে ১০ জন অপারেশন রোগী মারা যায়। সে সময় ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে সেগুলো আবার নামে-বেনামে চালু করা হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব,কামরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, জেলা সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতার তদরকির অবহেলার কারণে এই সব ক্লিনিকগুলো গড়ে উঠেছে। খুব শিগগিরই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET