চাঁদপুর প্রতিনিধি-
মাদক ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী চৌরাস্তা মোড়ে গাছতলা, মকিমপুর ও ইচলী গ্রামের দু’পক্ষের মধ্যে অস্ত্রের মহড়ায় ব্যাপক হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছে। গাছতলা গ্রামের পক্ষ এ সময় প্রতিপক্ষকে না পেয়ে চৌরাস্তা মোড়ে চাঁদপুরজমিন হাসপাতালের পাহারাদারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সোয়া ৭টায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মামুনুর রশিদের নির্দেশে এসআই নিজাম ভূঁইয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় চৌরাস্তা মোড়ের ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, মাদকসহ ছোটখাট বিষয় নিয়ে ইচলী এবং মুকিমপুর গ্রামের সংঘবদ্ধ এসব বখাটে যুবক এর পূর্বেও ৪/৫বার অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ইচলী গ্রামে এক যুবক মাদকসহ আটক হয়। পরে স্থানীয় কয়েকজন মাদক কেড়ে নিয়ে মাদক বহনকারীকে ছেড়ে দেয়। ও ঘটনায় মুকিমপুরের সংঘবদ্ধ চক্র সন্ধ্যা ৭টায় চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা চৌরাস্তা মোড়ে হট্টগোল শুরু করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাদের চলে যেতে বললেও তারা অবস্থান করে। পরে মুকিমপুর গ্রামের ওই সংঘবদ্ধ যুবক অস্ত্র নিয়ে হাসপাতালের পশ্চিম পাশে রাস্তার সীমানার চেইন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ছিড়ে পেলে। এ সময় হাসপাতালের পাহারাদার মিলাদ হোসেন তাদেরকে চেইনগুলো কেন ছেড়া হচ্ছে বাধা দিলে তাকে প্রথমে লাঠি দিয়ে পিটায় এবং পরবর্তীতে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপ দিলে স্থানীয় ব্যবসায়ী জবির হোসেন তাকে রক্ষা করে। পরে তারা ওই পাহারাদারকে ধাওয়া করলে হাসপাতালে এসে প্রাণে রক্ষা পায়।
স্থানীয়রা জানায়, মুকিমপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ও বাবুলের নেতৃত্বে ৫০/৬০জনের সংঘবদ্ধ যুবক এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং হামলা চালিয়ে পাহারাদারকে আহত করে। এছাড়াও সন্ধ্যার পর থেকে বাগাদী চৌরাস্তা মোড়ের পাশের বাইপাস সড়কগুলো মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের হাট বসে। এদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। এ ব্যাপারে চাঁদপুরের পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন জরুরি ব্যবস্থা না নিলে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসী জানান। প্রতিদিন এ এলাকায় বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা এসে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করার নিরাপদ স্থান হিসেবে এই বেছে নিয়েছে।