লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রাজিবপুর এলাকায় দুই আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
নিহতরা হলেন, একই এলাকার মৃত সেকান্তর মিয়ার ছেলে ইছমাইল হোসেন মানিক ও শামছুল করিমের ছেলে কামরুল ইসলাম।
পুলিশের ধারণা, মাদক ব্যবসা নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে।
ইছমাইল হোসেন মানিক ও কামরুল ইসলাম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও দুর্ধর্ষ ডাকাত বলে দাবি করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোররাতে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় ইছমাইল হোসেন মানিক ও কামরুল ইসলামকে। এরপর তারা আর বাড়ি ফিরেনি।
শুক্রবার ভোররাতে সদর উপজেলার রাজিবপুর এলাকায় ইছমাইল হোসেন মানিক ও কামরুল ইসলামকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে দিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে ভোরে তাদের লাশ রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দুইজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এলাকাবাসী জানায়, ইছমাইল হোসেন মানিক ও কামরুল ইসলাম এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। এছাড়াও তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার প্রভাবে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের ভয়ে কেউ কোনো কথা বলতে সাহস পায়নি।
এ দিকে সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, নিহতরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যাবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে এ খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ বিষয় তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।