
জুয়েল খন্দকার, নিজস্ব প্রতিবেদক:- মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লা ইয়ামিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ গত কয়েক দিনে রাজধানী পুরুষ ও অন্যান্য শহরে তীব্রতর বিক্ষোভ হয়েছে। মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ এবং আট অন্যান্য বিরোধীদলীয় নেতার মুক্তির আদেশের পর থেকে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে চরম অবমাননাকর মামলা হয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ বিরোধী সরকার ক্ষমতায় আসার জন্য সরকারকে চাপ প্রয়োগ বন্ধ করে দেয়নি।
পুলিশ শুক্রবারে আরো তিনজন সংসদ সদস্যকে (এমপি) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, এমপি আবদুল্লা শহীদ, আব্দুল্লাহ রিয়াজ ও আবদুল্লা লতিফও রয়েছেন। এ পর্যন্ত ছয়জন বিরোধী সাংসদকে গ্রেফতার করা হয়েছে,এছাড়া নেতা কর্মীদেরত কোন হিসেবি নেই। গত কালকেও অসংখ্য বিক্ষোভকারীদে গ্রেফতার করেন পুলিশ। পুলিশ আমভাবে “টিআরসেল গ্যাস” নিক্ষেপ করেন বিক্ষোভ কারী সহ পথচারী জনসাধারণ মানুষের উপরেও, আর সাংবাদিকদের উপরেও চালায় হামলা।
“ঘটনার সূত্র শুরু হয়” ২০১১ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক প্রধান মন্ত্রী মোহাম্মদ নাশিদসহ কারাগারে আটক রাজনৈতিক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির আদেশ দিয়ে দ্বীপ রাষ্ট্রটি নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভুগছে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল্লা ইয়ামেন আব্দুল গাইয়ুম ৫ ই ফেব্রুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির করে ১৫ দিনের রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরপরই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বাতিলের আদেশ প্রত্যাহার করার জন্য সুপ্রিম কোর্টকে দুই বিচারপতি ও বাকি রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তার করে এবং শেষ পর্যন্ত আদেশ দেন প্রত্যাহার করার।
সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদের পাশাপাশি নুসাইদ ছাড়াও অন্যান্য শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা জুমহুরি পার্টি (জেপি) নেতা গ্যাসিম ইব্রাহিম, ধর্মীয় রক্ষণশীল আধালাত পার্টি (এপি) নেতা শেখ ইমরান আবদুল্লা, সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ নাজিম, সাবেক উপদেষ্টা আহমেদ আব্দি আব্দুল গফুর এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট গাইয়ুমের সংসদ সদস্য ফারিস মানুমন, সাবেক প্রসিকিউটর জেনারেল মুহিতজ মুহসিন, ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ নিহান ও আধেবের চাচা হামিদ ইসমাইল বাকি আর অনেকেই তালিকায় রয়েগেছে।
Please follow and like us: