
ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ- সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দূর্নীতিবাজ পৌরসভা প্রকৌশলী ওজিয়াহুর রহমান, ভূমি কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ও এসিল্যান্ড কর্মকর্তা অহিদুল ইসলাম এর যোগসাজশে সরকারী জায়গা দখল করে দখলবাজ আব্দুর রহিম বহুতল ভবন র্নিমান কাজ চালিয়ে যেতেন।
আর এই র্নিমান কাজ চোঁখ খুলে দেখতো সরকারে ওই তিন কর্মকর্তারা। কি লাভের আশায় তারা এত বড় অবৈধ র্নিমান কাজে সহযোগিতা করলো সেটাই এখন জানার বিষয়।
স্থানীয়রা বলেছেন একাধিক বার পৌরসভায় মৌখিক অভিযোগ করার পর লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও কোন গুরুত্ব দেয়নি পৌরসভার প্রকৌশলী ওজিয়াহুর রহমানসহ তিন কর্মকর্তারা।
কিভাবে গুরুত্বদেব তারা। অর্থের বিনিময়ে পৌর প্রকৌশলী ওজিয়াহুর রহমান অবৈধ প্লান বা পৌরসভার নক্রার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারবে না বলে গুরুত্ব দেয়নি।
কোন প্লান বা জমির কাগজপত্র পৌরসভায় না থাকায় সরকারী অনুমতি না নিয়ে প্রভাব খাটিয়ে পৌর প্রকৌশলীসহ তিন কর্মকর্তাকে অর্থের বস করে প্রায় ২ বছরে বেশি সময় চলা র্নিমান কাজ চালিয়ে যেতেন দখলবাজ রহিম।
তার অর্থের পুরোটায় যোগান দিতেন বড় ভাই আব্দুর রহমানের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী বিল্লাল হোসেন। সম্পর্কে বিল্লাল হোসেন আব্দুর রহিমের ভাইপো।
বিএনপিপন্থী পরিবার হয়ে যুবলীগ নেতা বাবু হত্যা মামলার আসামী আব্দুর রহিম কিভাবে সরকারী জায়গা দখল করে সামনে এতিম খানার সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে বহুতল ফাউন্ডেশন বিল্ডিং র্নিমান করেছেন সেই প্রশ্ন এখন জনস্মুখে। ‘টক অব দ্যা’ কলারোয়ায় আলোচিত খবর।
বিভিন্ন পত্র- পত্রিকার অবৈধ বহুতল ভবন র্নিমান কাজ চালিয়ে যাওয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে তোড়ঝাঁপ শুরু করে দখলবাজ রহিম।
ক্ষমতাধর হাইব্রীড নেতাদের কাছে ধন্য দিয়ে নামী- দামি ওকিলের দারায় কিভাবে অবৈধ কাগজপত্র তেরী করা যায় সেই তালেই ব্যস্থ দখলবাজরা।
পৌরসদরের ৯নং মির্জাপুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফের লিখিত অভিযোগ পৌরসভা কর্তৃক তদন্ত চলাকালে সরকারী জায়গাসহ বহুতল ভবন র্নিমান কাজের কোন কাগজপত্র না থাকয় প্রথম দফায় পৌরসভা থেকে নোটিশ জারী করা হয়। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে দখলবাজ রহিম কোন কাগজ পত্র দেখাতে না পারায় বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে দেন।
একই সাথে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভূমি সরকারী কর্মকর্তা বরাবর লতিফের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের সতত্য যাচায়ে জন্য দুই ভূমি কর্তকর্তা তদন্ত গেলে জমির কোন কাগজপত্র বা পৌরসভার অনুমতি পত্র দেখাতে পারেনি দখলবাজ রহিম।
বার বার সরকারী কর্মকর্তারা কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তা না শুনে র্নিমান কাজ চালিয়ে গেছে দখলবাজ রহিম।
প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার ক্ষমতার দাপটে হত্যা মামলার আসামীরা সরকারী কর্তকর্তাদের হুমকী দিয়ে কাজের আশেপাশে যেতে মানা করে দিয়েছেন।
নিরুপায় হয়ে ওই কর্তকর্তারা অর্থের কাছে পরাজিত হয়ে আওয়ামীলীগ নেতার মদদে র্নিমান কাজে সহযোগিতা করেই চলে।
আবার ২য় দফায় পৌরসভা থেকে দখলবাজ রহিমকে নোটিশ করা হলে সেই নোটিশ প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার হুমকীতে কিছু দিন ধামা চাপা দেয় হয়।
পরবর্তিতে ৩য় দফায় নোটিশ জারি করা হলে বিএনপিপন্থি মেয়রকে আওয়ামীলীগের দাপুটে নেতার মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করেন।
কিন্তু পৌর প্রকৌশলী ওয়াজিহুর রহমান মেয়রের স্বাক্ষরিত আদেশ অমান্য করে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে সেই নোটিশের তদন্ত কাজ বন্ধ করে দেয়।
তার মধ্যে কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও দখলবাজ রহিম ভবন র্নিমান কাজ চালিয়ে গেছে।
এদিকে এলাকাবাসীরা বলেন কিভাবে পৌরসভার অনুমতি ছাড়ায় হত্যা মামলার আসামী আব্দুর রহিম অবৈধভাবে সরকারী জায়গা দখল করে বহুতল ভবন র্নিমান কাজ করেন। তারা এই দখলবাজ রহিমের অবৈধ র্নিমান কাজ বন্ধসহ বিল্ডিং উচ্ছেদ করার জন্য সরকারী উর্চ্চপদাস্থ কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মহাদয়কে দৃষ্টি আকর্শন করেন।
অতি দ্রুত এই অবৈধ র্নিমান কাজ ভেঙ্গে ফেলা না হলে ঘটতে পারে যে কোন বড় দূর্ঘটনা। আবার ইতিহাস হতে পারে সাভারের রানা প্লাজার মতো।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন জানায়, বিষটি তিনি জেনেছেন। বর্তমানে নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং কাজ বন্ধ। সরকারী জমি দখলবাজকে কোন ভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র গাজী আক্তারুল ইসলাম জানান, বর্তমানে নির্মান কাজ বন্ধের জন্য বার বার বলা হয়েছে দখলবাজ রহিমকে।
দখলবাজ রহিম মেয়রের নির্দেশ না মানায় পরবর্র্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কলারোয়া থানার একটি অভিযোগ করেন।
অদৃশ্য শক্তির কাছে বিএনপি নেতার এই বিলাশ বহল বাড়ি নির্মান করায় আওয়ামীলীগ নেতাদের মধ্য ব্যাপক ক্ষোপের সৃষ্টি হয়। অচিরে বহুতল ভবন ভেঙ্গে ফেলার দাবী করেন আওয়ামীলীগ নেতারা।