
শহিদুল ইসলাম,মুকসুদপুর(গোপালগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষির গ্রামে বিডিএস থেকে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করে হামিদা বেগম স্বাবলম্বী হয়েছে।
শ্রম নিষ্ঠা সততা থাকলে কোন বাধাই পথে বাধা হতে পারে না। যেমন পারেনি মুকসুদপুর উপজেলার ননীক্ষির গ্রামের হামিদা বেগমের জীবন। দুই ছেলে এক মেয়ে ও স¦ামী নিয়ে কোনো ভাবে সংসার চলতো তাদের। এর পর কূল কিনারা না পেয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি(বিডিএস) সংস্থা থেকে হামিদা বেগম ২৫,৬,২০১৪ ইং তারিখে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে পোনা মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করে। এর পর থেকে তাদের পরিবারের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।১০ হাজার টাকা পরিষদ করে ২০ হাজার এর পর ৩০ হাজার পরিষদ করে ৫০হাজার টাকাঋণ নিয়ে একের পর এক ব্যবসা বাড়াতে থাকেন তিনি। বার্তমানে তার ৬ টা পুকুর লিজ নেওয়া আছে তাতে সবমিলিয়ে পুকুরে ৬ থেকে ৭লাখ টাকার মাছ আছে। হামিদা বেগম জানান, যখন আমাদের সংসারের হালবেহাল হয়ে পরেছিলো তখন আমি বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির(বিডিএস) সংস্থার মুকসুদপুর জলিরপাড় শাখা অফিস থেকে ঋণ নিয়ে মাছের পোনার চাষ করি, এর পর থেকে আমার সংসারের ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে। এখন আমার পরিবার নিয়ে আল্লাহ্র রহমাতে অনেক ভালো আছি। আমি ৫লাখ টাকা খরচ করে বাড়িতে থাকার জন্য একটি ঘর দিয়েছি ও কৃষি জমি কিনেছি বর্তমানে আমার ৬ টা পুকুরে কাতল,সিলবার,বিভিন্ন মাছসহ ৬/৭ লাখ টাকার মাছ আছে। প্রতি মাসে পুকুর থেকে আয় আসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এব্যপারে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট (বিডিএস) সংস্থার মুকসুদপুর জলিরপাড় শাখা ব্যবস্থাপক বাসুদেব রায় বলেন, হামিদা বেগম খুবই পরিশ্রমী সে বিডিএস থেকে ঋণ নিয়ে মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে। এভাবে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এগিয়ে আসা উচিত।